কনভালসেন্ট প্লাজমা থেরাপি

কোনও ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর ওই রোগ থেকে সুস্থ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর দেহে এই রোগের মোকাবিলায় অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। সেই অ্যান্টিবডি রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা কম এমন মানবশরীরে পাঠিয়ে অন্য আক্রান্তের করোনার সঙ্গে যুদ্ধ করার ক্ষমতা বাড়ানো যায় বলে মনে করা হচ্ছে।

রক্তের হ্লুদ তরল অংশ হ’ল প্লাজমা।যারা কোভিড ১৯ থেকে সেরে উঠেছেন মুলত তাদের রক্তের প্লাজমা ই কনভলেসেন্ট প্লাজমা । চিকিৎসা পরিভাষায় পুরো প্রক্রিয়ার কে বলা হয় ‘ কনভালসেন্ট প্লাজমা থেরাপি,

কনভালসেন্ট প্লাজমা থেরাপি, একটি পরীক্ষামূলক চিকিৎসা যা কিছু গুরুতর করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে। আপাতত কোনও ওষুধ কোভিড -১৯ এর চিকিৎসার জন্য নিরাপদ এবং কার্যকর প্রমাণিত হয় নি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) কোভিড -১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য জন্য বিশেষত কোনও ওষুধ পূর্ণ অনুমোদন করেনি।

গবেষকরা আশা করছেন যে ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের দক্ষতা বাড়াতে মারাত্মক কোভিড -১৯ আক্রান্ত ব্যক্তিকে কনভলেসেন্ট প্লাজমা দেওয়া যেতে পারে। এটি মাঝারিভাবে অসুস্থ ব্যক্তিদের আরও অসুস্থ হওয়া থেকে ও কোভিড -১৯ জটিলতাগুলি থেকে দূরে রাখতে সহায়তা করতে পারে।

চীন, ইরান এই থেরাপি প্রয়োগ করে সুফল পাওয়ার দাবি করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা-সহ কিছু দেশ এই প্রক্রিয়ায় ব্যাবহার শুরু করেছে।এফডিএ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কনভালসেন্ট প্লাজমা থেরাপির ক্লিনিকাল ট্রায়াল শুরু করার জন্য কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে অনুমোদন দিয়েছে।ভারতে প্লাজমা থেরাপির কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্যে ২১ সংস্থাকে অনুমোদন দিয়েছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ বা আইসিএমআর (ICMR), বাংলাদেশেও শুরু হয়েছে এর পরীক্ষা ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *