শীত যত বাড়ছে খেজুরের রসের চাহিদাও ততো বাড়ছে। গ্রামীণ জনপদের ঘরে ঘরে এই রস দিয়ে তৈরি হচ্ছে নানা ধরনের পিঠা ও পায়েস। শক্তি পাওয়ার জন্য অন্যতম দ্রুত এবং সর্বোত্তম উপায় হচ্ছে খেজুরের রস ।
এই পুষ্টিকর ফল আয়রন সহ , অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন এবং খনিজ উপাদানের উৎস । তাজা এবং শুকনো খেজুর খাওয়া ছাড়াও খেজুর রস একটি জনপ্রিয় পানীয় । এই প্রচন্ড সুস্বাদু এবং মিষ্টি-স্বাদযুক্ত রস প্রাকৃতিক খেজুর থেকে সরাসরি এবং প্যাকেজজাত আকারে পাওয়া যায়। খেজুরের রস বাচ্চাদের এবং প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য একইভাবে একটি প্রাকৃতিক স্বাস্থ্য টনিক।
চলুন দেখে আসি খেজুরের রসের উপকারিতা।
খেজুরের রসে আয়রন, ফোলেট, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, জিংক এবং অন্যান্য কী ভিটামিনের মতো বি ১, বি ২, বি ৩ এবং সি রয়েছে। যথেষ্ট পরিমাণে খেজুরের রস নিয়মিত খেলে আপনি কৃত্রিম ভিটামিন সাপ্লিমেন্টের ব্যবহার এড়াতে পারবেন। হাড়ের স্বাস্থ্য সহায়তা ছাড়াও খেজুর রস রক্তাল্পতাজনিত রোগীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পথ্য ।
খেজুরের রসের পুষ্টি সম্পর্কিত তথ্য:
এখানে ২১গ্রাম খেজুরের রসের পুষ্টিতথ্য দেয়া হলো
মোট ক্যালোরি: ৫৯ একক
ফ্যাট: ০.১ গ্রাম
মোট কার্বোহাইড্রেট: ১৬ গ্রাম
পটাসিয়াম: ১৩৮ মিলিগ্রাম
ডায়েটারি ফাইবার: ১.৭ গ্রাম
সুগার: ১৩ গ্রাম
সোডিয়াম: ০.৪ মিলিগ্রাম
প্রোটিন: ০.৫ গ্রাম
ক্যালসিয়াম: ১%
আয়রন: ১%
খেজুরের রসের স্বাস্থ্য উপকারিতা: খেজুরের রসের আপনার স্বাস্থ্য, চুল এবং ত্বকের উপর বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। চলুন সেগুলি দেখে নেওয়া যাক।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে: পুষ্টিবিদদের মতে, প্রতিদিন খেজুরের রস গ্রহণ করা ঝলমলে ত্বককে নিশ্চিত করবে। ভিটামিন সি এবং ডি এর ভাল উৎস হওয়ার কারণে খেজুরের রস আপনার ত্বকের মান উন্নত করে এবং এর স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায়। এটি বার্ধক্যজনিত লক্ষণগুলি হ্রাস করতে সহায়তা করে এবং ভিতর থেকে ত্বকের লাবন্য ফিরিয়ে আনে।
চুলের বৃদ্ধির উন্নতি করে: চুলের জন্য খেজুরের রস উপকারিতা অসংখ্য। চুল ঘন এবং মসৃণ করতে নিয়মিত খেজুরের রস পান করা যেতে পারে ।খেজুরের রসে প্রচুর পরিমাণে আয়রন এবং ফোলেট উপাদানগুলি চুলের ফলিকল গুলির জন্য সহায়ক যা ভিতরে থেকে চুল শক্তিশালী করে এবং চুল পড়া কমাতে পারে।
এ ছাড়া ও স্মরণ শক্তি বৃদ্ধিতে খেজুরের রসের ভুমিকা রয়েছে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।