কেন ফল খাওয়ার পর পানি পান করা উচিৎ নয় ?

ফল খাওয়ার উপকারীতা নিয়ে নতুন করে কোন কিছু বলার কিছু নেই , ফল সবসময় ই উপকারি । ফল আমাদের শরীরে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও মিনারেল যোগান দেয় । ফল খাওয়ার বিকল্প কিছু নেই। শুধু তাই নয়, দেহের ওজন বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রনেও, নিয়মিত ফল খাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা আছে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ফল খাওয়ার পর পর খাওয়া নিয়ে।

সাধারণভাবে কোন কিছু খাওয়ার পরে পরেই জল খাওয়া, পরিপাক প্রক্রিয়াকে ব্যহত করে এবং নানা সমস্যা তৈরী করে।
এমন পাঁচটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যাক যেগুলোর জন্য, ফল খাওয়ার পর পানি পান করা উচিৎ না।

পাকস্থলিতে ক্র্যাম্প (খিঁচুনি):
ফ্রুক্টোজ (শর্করা) এবং ইস্ট, এদুটোই ফলের সঙ্গে শরীরে ঢোকে। এখন ফল খাবার পরে পরেই পানি পান, ইস্টকে উৎসাহিত করে, পরিনামে কার্বন ডাই অক্সাইড ও এ্যালকোহল উৎপন্ন হয়। ফলে গ্যাসজনিত সমস্যার সৃষ্টি হয়।

পি এইচ (pH) লেভেল নিয়ন্ত্রণ বিঘ্নিত করে:
যেসব ফলে পানির পরিমান বেশী, যেমন তরমুজ, কমলালেবু, শশা ইত্যাদি খাবার পরপরই পানি পান করলে , পরিপাকতন্ত্রের pH মাত্রা নিয়ন্ত্রণে বিঘ্ন ঘটে।

রক্ত-শর্করা (ব্লাড-সুগার) মাত্রা বৃদ্ধি করে:
খাবার পরেই পানিপান, পরিপাকতন্ত্রে অনেক খাদ্য অপাচ্য অবস্থায় রেখে দেয়, এরা পরবর্তীতে ফ্যাটে রূপান্তরিত হয়ে ইনসুলিন মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। যেটা আবার রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে সাহায্য করে।

পানি দেহের পরিপাক প্রক্রিয়াকে দীর্ঘায়িত করে:
ফল খাওয়ার পরেই পানিপান, পরিপাক প্রক্রিয়া ও পরবর্তী শোষণ প্রক্রিয়া ব্যহত হয় এবং পাকস্থলিকে এ্যসিডিটি বা ‘অম্বল’ জনিত সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে ।
তাই, ফল খাওয়ার মোটামুটি ঘন্টাখানেক পর পর্যন্ত পানিপান করা উচিৎ নয় ।

গ্যাস্ট্রিক তরল (গ্যাস্ট্রিক ফ্লুইড ) কে লঘু করে:
গ্যাস্ট্রিক তরল ও এনজাইমগুলো (উৎসেচক), হল পরিপাক প্রক্রিয়ার গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।
ফল খাওয়ার পরেই পানিপান , এদেরকে লঘু করে দিলে, পাচনকারী উৎসেচকদের নিঃসরণ দীর্ঘায়িত হয়, এ্যাসিডিটী ও অম্বলজনিত সমস্যার সৃষ্টি করে।

উপরোক্ত কারনে ফল খাওয়ার পর পানি পান করা একদম উচিৎ নয়।

লিভপিউর অবলম্বনে । 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *