করোনা দুর্যোগ মোকাবেলায় ‘ফার্মাসিস্ট ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (পোয়াব) এর উদ্যোগে ফার্মাসিস্টদের নিয়ে ফোন কল সার্ভিস ’মাই ফার্মাসিস্ট হেল্পলাইন’ চালু করা হয়েছে শুক্রবার (১লা মে, ২০২০) । যার মাধ্যমে ফার্মাসিস্টগণ ফোন কলের মাধ্যমে সর্বসাধারণের সকল প্রকার সেবা প্রদান করে যাচ্ছেন। বিশেষ করে ফার্মাসিস্টগণ মহামারি করোনা বিষয়ক যেকোন ঔষধ সম্পর্কিত তথ্য, প্রয়োজনে ওভার দ্যা কাউন্টার ড্রাগ নেয়ার পরামর্শ প্রদান, ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা বিষয়ক তথ্য, বর্তমানে দেয়া সরকারের সেবাসমুহ সম্পর্কিত তথ্য, নিকটস্থ করোনা পরীক্ষাকেন্দ্রের ঠিকানা প্রদান , নিকটস্থ করোনা হাসপাতালসহ সকল প্রকার প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে মানসিক সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন।
মহামারি করোনার থাবায় যখন পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তের প্রায় সকল মানুষ বিপর্যস্ত, যখন ঘরবন্দী মানুষ কী করবে আর কীভাবে চলবে আর কবে এই মহামারি শেষ হয়ে নতুন সূর্য উঠবে তা ভেবে স্থবির ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত তখন ফার্মাসিস্টরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে বিরতিহীনভাবে কভিড-১৯ এর প্রতিষেধক আবিষ্কারের জন্য। অন্যান্য ফার্মাসিস্টরা জনগণের প্রয়োজনীয় ঔষধের সরবরাহ পর্যপ্ত রাখতে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। দেশের মানুষের এই সংকটময় সময়ে এসব ফার্মাসিস্টদের মতো মানুষকে সহযোগিতা করতে বিশেষজ্ঞ ক্লিনিক্যাল ফার্মাসিস্ট, স্নাতকোত্তর ফার্মাসিস্ট ও ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র-ছাত্রীদের সমন্বয়ে ফার্মাসিস্ট ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের উদ্যোগে ‘মাই ফার্মাসিস্ট হেল্পলাইন’ গঠিত হয়েছে।
পোয়াবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সোহেল বিন আজাদ অপু, সাধারণ সম্পাদক সামিউল্লাহ সামি এর নেতৃত্বে ও নর্থ সাইথ ইউনিভার্সিটির ফার্মেসি বিভাগে প্রভাষক জুনায়েত হোসাইন খানের সমন্বয়ে ফার্মাসিস্টগণ ৭টি দলে বিভক্ত হয়ে প্রতিটি দল এক একটি বিভাগের জন্য কাজ করে পুরো বাংলাদেশকে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। প্রতিটি দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন একজন স্নাতকোত্তর ফার্মাসিস্ট। সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালন করছেন জুনায়েত হোসাইন খান । ইউনাইটেড হসপিটালের ক্লিনিক্যাল ফার্মাসিস্ট এই দলকে কভিড-১৯ সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে অবগত করছেন।
সাধারণ মানুষ ফোন কলের মাধ্যমে যেকোন প্রকার সেবা নিতে পারবে একদম বিনামূল্যে । সাধারণ মানুষকে সঠিক তথ্য দিতে, মানসিক সমর্থন দিতে, সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দিতে, প্রয়োজনীয় সুরক্ষা বিষয়ক তথ্য দিতে এবং সকল প্রকার ঔষধ সম্পর্কিত জিজ্ঞাসার উত্তর দিতে সকাল ৯টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ৩৫জন ফার্মাসিস্ট সদা সক্রিয় রয়েছে। ওভার দ্যা কাউন্টার ড্রাগ নেয়ার পরামর্শও ফার্মাসিস্টগণ নিয়মিত দিয়ে যাচ্ছে।
পোয়াবের সভাপতি মোঃ মোয়াজ্জেল হোসেন শাকিল বলেন,’দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে ফার্মাসিস্টগণও যে বিশেষ ভুমিকা রাখতে পারে তারই প্রমাণস্বরূপ আমাদের কাজ করে যাওয়া। সম্পূর্ণ ফ্রী এই সেবা যে কেউ ছবিতে দেয়া নাম্বারে ফোন দিয়ে নিতে পারবে। ফার্মাসিস্টগণ হচ্ছে মেডিসিন এক্সপার্ট।’
ফার্মাসিস্ট আবদুল্লাহ হিল কাফি খান, ফখরুল ইসলাম সুকর্ন, আবরার নুর আহমেদ নাসিফ, জে এফ মুন্না, জহির রায়হান, মোঃ আশাদুজ্জামান রকি, আশিকুর রহমান, ফজলে রাব্বি ফয়সাল, আবিদুল মোহাইমেন সাজিল ৭টি দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
উল্লেখ্য, ফার্মাসিস্ট ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ প্রায় চার বছর ধরে বন্যা দুর্গতের মাঝে ত্রাণ প্রদাণ, উইন্টার ক্যাম্পের মাধ্যমে হতদরিদ্রদের মাঝে শীতবস্ত্র ও ঔষধ সেবা প্রদাণসহ বিভিন্ন সামাজ সেবামূলক কাজ করে আসছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি ।