ইভারমেকটিন একটি অ্যান্টি প্যারাসাইট ওষুধ। নির্দিষ্ট পরজীবীর সংক্রমনের চিকিৎসায় ব্যাবহার করা হয়। যা মুলত head lice, scabies, river blindness (onchocerciasis), strongyloidiasis, trichuriasis, ascariasis, and lymphatic filariasis ইত্যাদি প্যারাসাইটিক রোগে ব্যবহৃত হয়। ইভারমেকটিন সাধারণত রিভার ব্লাইন্ড রোগের (অনকোসরেসিয়াসিস) জন্য বেশি ব্যাবহার করা হয় ।
ইভারমেকটিন ১৯৭৫ সালে আবিষ্কৃত হয়েছিল এবং ১৯৮১ সাল থেকে চিকিৎসায় ব্যবহার হয় আসছে । এটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রয়োজনীয় ওষুধের তালিকায় রয়েছে।
ইভারমেকটিন করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকরী বলে গত এপ্রিলে “Antiviral Research” জার্নালে একটি আর্টিকেলটি প্রকাশ হয় ।সেখানে বলা হয় Vero-hSLAM সেল লাইনে করোনাভাইরাস (সার্স-কোভ-২) দিয়ে ইনফেকশন তৈরি করে এবং ইভারমেকটিন প্রয়োগ করলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সেল লাইনে ভাইরাসের পরিমাণ ৫,০০০ গুণ পর্যন্ত কমে যায়।
ইভারমেকটিন ব্যাবহার করে করোনা চিকিৎসার জন্য এখনও কোন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বা FDA – অফিসিয়ালি Emergency use of Authorisation approval দেয় নি। কোভিড -১৯ রোগীদের মধ্যে এই ওষুধের কার্যকারিতা নিয়ে গবেষণা চলছে।
ফার্মাকোলজি
ইভারমেকটিন একটি সেমি সিনথেটিক এন্টি হেল্মিন্থিক এজেন্ট; এটি সিলেকটিভলি গ্লুটামেট-গেটেড ক্লোরাইড আয়ন চ্যানেলের সাথে শক্ত ভাবে যুক্ত হয় যা ইনভারটিব্রেট এর কোষ এবং পেশী কোষে ঘটে। এর ফলে কোষের ঝিল্লির ক্লোরাইড আয়নগুলির ভেদ্যতা বেড়ে যায় ফলে কোষের হাইপারপোলারাইজেশন ঘটে এবং পরজীবীর মৃত্যুর দিকে পরিচালিত হয়।
সাইড ইফেক্ট
মাথা ব্যথা, মাথা ঘোরা, পেশী ব্যথা, ঘাড়, বগল বা কুঁচকিতে ব্যাথা দ্রুত হৃদস্পন্দন বমি বমি ভাব বা ডায়রিয়া হতে পারে।
যদি অনকোসরসিয়াসিস এর চিকিত্সা করা হয় তবে চিকিত্সার প্রথম ৪ দিনের মধ্যে জয়েন্টে ব্যথা, লসিকা গ্রন্থি বা কোমল গ্রন্থি ফুলে যাওয়া , চোখের ফোলা / লালভাব / ব্যথা, দুর্বলতা, দৃষ্টি সহ পরজীবীদের মারা যাওয়ার ফলে কিছু প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে যেমন চুলকানি, ফুসকুড়ি এবং জ্বর।
ড্রাগ ইন্টারঅ্যাকশন
এই ওষুধের সাথে ইন্টারঅ্যাক্ট করতে পারে এমন কয়েকটি পণ্যের মধ্যে রয়েছে: বার্বিচুরেট (যেমন ফেনোবারবিটাল, বাটালবিটাল), বেনজোডায়াজেইপাইনস (যেমন ক্লোনাজেপাম, লোরাজেপাম), সোডিয়াম অক্সিব্যাট (জিএইচবি), ভ্যালপ্রইক অ্যাসিড।