মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একদল গবেষক আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) ব্যবহার করে নতুন শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কার করেছেন যা ড্রাগ রেজিস্টেন্ট ব্যকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কার্যকরী।
গবেষকরা এমন একটি সিস্টেম ডিজাইন করেছেন যাতে প্রায় ২,৫০০ বিভিন্ন বায়োএকটিভ মলিকুলের ডাটা সন্নিবেশিত আছে। এর মধ্যে প্রায় ১৭০০ এফডিএ এপ্রুভড ড্রাগ এবং ৮০০ ন্যাচারাল প্রোডাক্টের ডাটা রয়েছে। সিস্টেম তৈরী পর, গবেষকরা প্রায় ৬০০০ কম্পাউন্ডের একটি মলিকুল লাইব্রেরি কে তাদের সিস্টেমের মাধ্যমে পরীক্ষা করায়।
পরীক্ষা পর এআই সিস্টেমটি একটি নতুন অ্যান্টিবায়োটিক যৌগ সনাক্ত করেছে যা ল্যাব পরীক্ষায়, ব্যাকটেরিয়ার ড্রাগ-রেজিস্টেন্ট স্ট্রেন সহ ( Clostridiodes difficile, Acinetobacter baumannii, and Mycobacterium tuberculosis, ) বিশ্বের বেশিরভাগ সমস্যাজনিত রোগের দায়ী ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলতে সক্ষম। গবেষকরা নতুন অ্যান্টিবায়োটিক যৌগটির নাম দিয়েছেন হ্যালিসিন।
গত দশকে মাত্র কয়েকটি নতুন অ্যান্টিবায়োটিক তৈরি করা হয়েছে যা অগের গুলোর সাথে অনেক মিল রয়েছে ফলে আমরা প্রতিনিয়ত অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্সের মত বাজে ঘটনা গুলোর মুখোমুখি হচ্ছি। এই অবস্থা থেকে উওরনের উপায় হচ্ছে নতুন অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কার করা। এক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে নতুন মলিকুল গুলোর স্ক্রিনিং অনেক সময় সাপেক্ষ ও ব্যায়বহুল।
যদি এক্ষেত্রে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স কে কাজে লাগানো যায় তবে খুব সহজেই নতুন নতুন কার্যকরী অ্যন্টিবায়োটিক খুঁজে বের করা সম্ভব হবে।গবেষকরা “আরও কয়েকটি অ্যান্টিবায়োটিক ক্যান্ডিডেট সনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন, যা পরবর্তীতে আরও পরীক্ষা করার পরিকল্পনা করেছেন ।
হ্যালিসিন শনাক্তকরণের পর গবেষকরা তাদের মডেল ZINC 15 নামক ডাটাবেইজ ( ১.৫ বিলিয়ন মলিকুলের ডাটা সংরক্ষিত আছে) থেকে ১০০ মিলিয়ন মলিকুল স্ক্রিনিং করে। এই স্ক্রিনিং করতে সময় লাগে মাত্র তিন দিন যা থেকে ২৩ টি মলিকুল কে আলাদা করতে সক্ষম যা মানুষের জন্য কার্যকরী হতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
ইস্রায়েল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি, টেকনিউশনের জীববিজ্ঞান এবং কম্পিউটার বিজ্ঞানের অধ্যাপক রায় কিশোনি বলেছেন: “এই নতুন কাজটি অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কার এবং প্রকৃতপক্ষে ড্রাগ আবিষ্কারের ক্ষেত্রে একটি প্রেক্ষাপট বদলের ইঙ্গিত দেয়।
আশাকরা যায় এই আবিষ্কার ঔষধ গবেষণায় এক নতুন দিগন্তের উন্মোচন করবে।