“ফার্মেসী বিষয়ে পড়াশোনা ও পেশা” খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগের তত্ত্বাবধানে ৯ জুন ২০২০ সকাল ১১ ঘটিকায় একটি E-Talk (অনলাইন আলোচনা ) অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বর্তমান কোভিড-১৯ প্যানডেমিক প্রেক্ষাপটে খাজা ইউনুস আলী বিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগের প্রধান ড.ফজলে রাব্বি শাকিল আহমেদ, “ফার্মেসী বিষয়ে পড়াশোনা ও পেশা” শীর্ষক একটি সময় উপযোগী, ভিডিও কনফারেন্সের ব্যবস্থা করেন। খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. হোসেইন রেজা ই-আলাপন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে তার সমর্থন প্রকাশ করেন।
যেখানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় তথা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসিউটিক্যাল টেকনোলজি বিভাগের সুনামধন্য শিক্ষক ও সভাপতি প্রফেসর ড.মো.ইলিয়াস আল-মামুন।গুগল মিট এর মাধ্যমে ফার্মেসী বিভাগের সকল শিক্ষার্থী অনুষ্ঠানটিতে সরাসরি অংশগ্রহণ করে। ই-আলাপনের বিভিন্ন অংশ জুড়ে প্রফেসর ড. মো. ইলিয়াস আল মামুন ফার্মেসী বিষয়ে পড়াশোনা, ফার্মাসিস্টদের কাজ,গুরুত্ব এবং দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে ফার্মাসিস্টদের অবদান সম্পর্কে তাঁর নান্দনিক উপস্থাপনায় এবং চমৎকার ভাষাশৈলির মাধ্যমে একটি প্রানবন্ত আলোচনা তুলে ধরেন। আলোচনার ঠিক শেষ পর্যায়ে ছিল চমক অংশ টুকু। শিক্ষার্থীদের সরাসরি প্রশ্নের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তর পর্ব।
প্রফেসর ড. মো. ইলিয়াস আল-মামুন অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে শিক্ষার্থীদের প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর প্রদান করেন। মানুষ নির্মাণ করে প্রয়োজনে, আর সৃষ্টি করে আনন্দে। একজন সাহিত্যিকের সাফল্য থাকে কথার ঝাঁকে, আর একজন সুরকারের সাফল্য থাকে কথার ফাঁকে। সৃষ্টি আর সাফল্য এই দুই-ই যদি লাগে মানবকল্যানে, নিজের এবং অন্যের জীবনের মান উন্নয়নের লক্ষ্যে, তবে বোধ করি তার চেয়ে অধিক আনন্দের বিষয় আর দ্বিতীয়টি নেই। ঔষধ যেখানে শিল্প, ফার্মাসিস্ট সেখানে শিল্পী, আর আনন্দ সেখানে সেবায়।ঔষধের উপকরণ নির্ধারন থেকে শুরু করে, ঔষধ গবেষণা, প্রস্তুত, মান নিয়ন্ত্রণ, মান উন্নয়ন, সংরক্ষণ, সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিতকরন, বিপনন একজন ফার্মাসিস্ট করে থাকেন। প্রকৃতপক্ষে একজন ফার্মাসিস্টের পদচারণা ঔষধের সৃষ্টি লগ্ন থেকে তার কার্যকারিতা নিশ্চিতকরনের সকল ক্ষেত্রেই। সুতরাং “মানবসেবাই যদি হয় ধর্ম, তবে ফার্মাস্টিটের অবদান এক অনবদ্য কর্ম”।