এর আগে তিনি দেশে-বিদেশে নামী-দামি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ভাইস-চ্যান্সেলর; বাংলাদেশ বৈজ্ঞানিক ও শিল্প গবষেণা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান (বিসিএসআইআর); ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদের ডিন ও ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যান; ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের পরিচালক।
তিনি ফার্মেসি কাউন্সিল অব বাংলাদেশের সদস্য ও এর অ্যাক্সিডিটেশন অ্যান্ড এডুকেশন কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি ২০০৫ সালে জাতীয় ওষুধ নীতি ও পরে ওষুধ অধ্যাদেশ ২০০৫ প্রণয়নে দায়িত্ব পালন করেন।
ড. হাসান ১৯৭৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফার্মাসি থেকে স্নাতক ও ১৯৭৪ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। দুই পরীক্ষাতেই তিনি প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হন। পরে কমনওয়েলথ বৃত্তি নিয়ে তিনি ১৯৮২ সালে যুক্তরাজ্যের স্ট্রাথক্লাইড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফাইটোকেমিস্ট্রির ওপর পিএইচডি লাভ করেন।
এ পর্যন্ত তার ২৯৫ টিরও বেশি পর্যালোচিত নিবন্ধ প্রকাশ পায় দেশী-বিদেশী বিভিন্ন জার্নালে। তিনি বিশ্বের ২৫টিরও বেশি দেশে অন্তত ৬৬টি আন্তর্জাতিক সেমিনার/ সিম্পোজিয়া/ওয়ার্কশপে চেয়ারম্যান/ কো-চেয়ারম্যান/ প্রধান আলোচক/ উপস্থাপক হিসেবে অংশ নিয়েছেন।
ঔষধি গাছ নিয়ে গবেষণা ও জৈব বিজ্ঞানে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি হাকিম হাবিবুর রহমান স্বর্ণপদক ২০০৩, বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমি স্বর্ণপদক ২০০৬, চন্দ্রবতী স্বর্ণপদক ২০০৭ এবং অতিশ দিপাঙ্কর স্বর্ণপদক ২০০৮ অর্জন হয়। তিনি আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটি (এসিএস), আমেরিকান সোসাইটি অব ফার্মাকগনোসি (এএসপি), রয়্যাল সোসাইটি অব কেমিস্ট্র, যুক্তরাজ্যের ফেলো ও বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমির ফেলো সদস্য। এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্স (বিএএস) এর ২০১৯-২০২২ মেয়াদের নির্বাচিত ভাইস-প্রেসিডেন্ট।