অপসোনিন ফার্মা লিমিটেড বাংলাদেশের একটি অন্যতম ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান। ১৯৫৬ সালে অপসোনিন কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ নামে পার্টনারশিপ ব্যবসা হিসেবে এর যাত্রা শুরু হয়। তারপর ১৯৭৬ সালে এটি একটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি হিসাবে তালিকাভুক্ত হয়। ১৯৮০ সালের মধ্যে অপসোনিন তাদের ওষুধের দেশব্যাপী বিপণন ও বিতরণ কার্যক্রম সম্প্রসারিত করে। দেশের পাশাপাশি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ঔষধ রপ্তানি করছে কোম্পানিটি । এজন্য প্রতিষ্ঠানটি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন রেগুলেটরি প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি পেয়েছে।
২০০৫ সালে ‘অপসোনিন কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড’ থেকে পরিবর্তন করে অপসোনিন ফার্মা লিমিটেড রাখা হয়। আইএমএস হেলথ (ইন্টারকন্টিনেন্টাল মার্কেটিং সার্ভিসেস, হেলথ) রিপোর্ট অনুসারে, অপসোনিন ফার্মা লিমিটেড বিক্রির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের চতুর্থ বৃহত্তম ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিষ্ঠান। অপসোনিন ফার্মা লিমিটেড মানুষের ব্যবহারের জন্য জেনেরিক ওষুধ উৎপাদন এবং বাজারজাত করছে সেইসাথে তাদের বিভিন্ন এগ্রোভেট প্রোডাক্ট উৎপাদন করে থাকে।
তাদের ওয়েবসাইট অনুযায়ী সংস্থাটি এখন প্রায় ৪৩৮ টি ব্র্যান্ড প্রস্তুত করছে। প্রায় ৭০ বছরের দীর্ঘ যাত্রায় অপসোনিন নিয়মিত ভাবে নতুন সকল প্রযুক্তি ও পণ্য নিয়ে তাদের পোর্টফলিও সমৃদ্ধ করেছে। এই যাত্রায় ১৯৬২ সালে ইনজেকশন, ১৯৮২ সালে অ্যান্টিবায়োটিক ক্যাপসুল, ১৯৯৭ সালে জেলটিন ক্যাপসুল উত্পাদন শুরু করে ।প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন থেরাপিউটিক ক্লাস যেমন অ্যান্টি-আলসারেন্টস, এনএসএআইডি, নিউট্রাসিউটিক্যালস, অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টিকনভালসেন্টস, অ্যান্টিডায়াবেটিক, কার্ডিওভাসকুলার ওষুধ উৎপাদন করে থাকে। প্রচলিত ট্যাবলেট এবং ক্যাপসুল ছাড়াও কোম্পানিটি প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত ডোজেস ফর্ম তৈরি করছে যেমন কার্টিজ-পাম্প সিস্টেম (সিপিএস) মিটারড ডোজ ইনহেলার ইত্যাদি।
২০০৬ সালের দিকে অপসোনিন ফার্মা লিমিটেড ৫০০ একরের বেশি জমি বরিশালের রূপাতলীতে অত্যাধুনিক ফার্মাসিউটিক্যাল ফর্মুলেশন কারখানা স্থাপন করে। ১৯৯৬ সালে অপসোনিনই বাংলাদেশে প্রথমবার সাপোজিটরি তৈরি ও বাজারজাত করন শুরু করে। গ্রুপ কোম্পানি হিসেবে অপসোনিনের আরো কিছু সাবসিডিয়ারি রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে অপসোসালাইন লিমিটেড, গ্লোবাল ক্যাপসুলস লিমিটেড, গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালস লিমিটেড, এবং জকি গার্মেন্টস লিমিটেড।