মহামারী করোনা ভাইরাসের আতঙ্কের হাত থেকে কিছুটা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করতে মানুষ ব্যাপক হারে ছুটছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিকে।বাজারে তৈরী হয়েছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার তীব্র সংকট। এমন সংকট থেকে কিছুটা উত্তরণের জন্য এগিয়ে এসেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়,বুয়েট, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়,কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ সহ বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।নিজেদের ল্যাবেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরী করে বিতরণ করছেন মানুষের মাঝে। কিন্তু তা প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত অপ্রতুল। তীর্থের কাকের মত মানুষ হ্যান্ড স্যানিটাইজারের সন্ধানে ব্যস্ত। স্যানিটাইজারের বিকল্প ও সহজলভ্য আদৌ কিছু আছে কি?
বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন গবেষণা সংস্থা ও বিশিষ্ট চিকিৎসকদের মত, সাবান পানি স্যানিটাইজারের তুলনায় অনেক বেশি কার্যকর যা কিনা সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী। স্যানিটাজার ৬০℅ এলকোহলিক দ্রবণে ভাইরাসের আবরণকে অথা ভাইরাসকে ধবংশ করতে কার্যকর। কিন্তু এর চেয়ে কম ঘনমাত্রায় স্যানিটাইজার খুব একটা কার্যকর নয়। অন্যদিকে সাবানের পানি ও সমানতালে ভাইরাসের আবরণ বা ভাইরাসকে ধবংশ করতে সক্ষম।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, হাতে নোংরা দৃশ্যমান হলে সাবান-পানি দিয়ে ধুতে হবে। হাতের নোংরা দৃশ্যমান না হলে অ্যালকোহলসমৃদ্ধ হ্যান্ড স্যানিটাইজার অথবা সাবান-পানি দিয়ে বারবার হাত ধুতে হবে।বিশিষ্ট চিকিৎসক অধ্যাপক এ বি এম আব্দুল্লাহর একটি গণমাধ্যমে বলেন, ‘সাবান–পানি দিয়ে হাত ধোয়াই যথেষ্ট। সাবান দিয়ে ২০ সেকেন্ড হাত ধুলে ভাইরাস মারা যায়।’
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভাইরাসের বাহিরের আবরণ লিপিড দিয়ে তৈরী। অন্যদিকে সাবান হল ক্ষার জাতীয় পদার্থ।ক্ষার লিপিডের সাথে বিক্রিয়া করে লিপিডকে চূর্ণ বিচূর্ণ করে করোনা ভাইরাসকে ধ্বংশ করতে সক্ষম।তাই অযথা দুষ্প্রাপ্য হ্যান্ড স্যানিটাইজারের পিছে না দৌড়ে সাবান পানি ব্যবহারে আমাদের মনোযোগী হওয়া একান্ত জরুরী।
লেখক: শিক্ষার্থী, ফার্মেসী বিভাগ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।