অ্যামিকাসিন একটি অ্যামিনোগ্লাইকোসাইড শ্রেণীর অ্যান্টিবায়োটিক যা ব্যাকটিরিয়া সংক্রমণের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এটি মাল্টি রেজিস্টেন্ট টিউবারকুলসিস চিকিৎসার জন্যও ব্যবহৃত হয় । এটি শিরা বা পেশীর ইনজেকশন দ্বারা ব্যবহৃত হয় ।
অ্যামিনোগ্লাইকোসাইড ব্যাকটেরিয়া রাইবোসোমের 30 এস সাব ইউনিটের সাথে অপরিবর্তনীয়ভাবে যুক্ত হয়ে প্রোটিন বায়োসিনথেসিস করতে বাধা দেয়।
বায়োএভেলএবিলিটি -৯০% ।
প্রোটিনের সাথে যুক্ত হওয়ার ক্ষমতা ( প্রোটিন বাইন্ডিং): ০-১০%
বিপাক: দেহ থেকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অপরিবর্তনীয়ভাবে নিষ্কাশিত হয়
ইলিমিনেশন হাফ লাইফ : ২- ৩ ঘণ্টা
রেচন : প্রধানত কিডনির মাধ্যমে ঘটে
অন্যান্য অ্যামিনোগ্লাইকোসাইড অ্যান্টিবায়োটিকের মতো অ্যামিকাসিনও শ্রবণশক্তি হ্রাস, ভারসাম্যজনিত সমস্যা এবং কিডনির সমস্যার কারণ হতে পারে।
অ্যামিকাসিন ১৯৭১ সালে পেটেন্ট করা হয়েছিল এবং ১৯৭৬ এটি সালে বাণিজ্যিক ব্যবহারে আসে । এটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রয়োজনীয় ওষুধের তালিকায় রয়েছে।
নির্দেশনা: এমিক্যাসিনের প্রতি সংবেদনশীল গ্রাম-নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট তীব্র সংক্রমনের চিকিৎসায় এমিক্যাসিন নির্দেশিত যেমন সেপ্টিসেমিয়া (নবজাতকের সেপসিস সহ), শ্বসনতন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ, অস্থি ও অস্থি সন্ধির সংক্রমণ, কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের সংক্রমণ, (মেনিনজাইটিস্ সহ), ত্বক ও কোমল কলার সংক্রমণ, উদরের অভ্যন্তরীন সংক্রমণ এবং আগুনে পোড়াজনিত বা পোস্ট-অপারেটিভ সংক্রমনের (রক্তনালীর শল্যচিকিৎসা পরবর্তী সংক্রমণসহ) চিকিৎসায়।
জেন্টামাইসিন বা টোবরামাইসিন রেজিসট্যান্ট গ্রাম- নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়া যেমন প্রোটিয়াস রিটগেরি, প্রভিডেন্সিয়া স্টুয়ার্টি, সেরেসিয়া মারসিসেন্স এবং
সিউডোমোনাস এরোজিনোসা সৃষ্ট সংক্রমণএ এমিক্যাসিন নির্দেশিত।
এছাড়াও এমিক্যাসিন স্ট্যাফাইলোকক্কি সংক্রমণেও কার্যকর দেখা গিয়েছে। ইহা স্ট্যাফাইলোকক্কাল রোগসমূহে অথবা গ্রাম-নেগটিভ ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট
সংক্রমণ এর প্রাথমিক চিকিৎসা হিসাবে বিবেচিত।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া :এমিক্যাসিন ব্যবহারের ফলে যে ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায় সেগুলো হচ্ছে টিনিটাস, মাথা ঘোরা, বধির হওয়া, স্কিন র্যাশ, মাথা ব্যথা, প্যারাসথেসিয়া, বমিভাব এবং বমি।
প্রতিনির্দেশনা:এমিক্যাসিন অথবা এ ওষুধের যে কোন উপাদানের প্রতি অতি সংবেদনশীল রোগীদের ক্ষেত্রে ইহা প্রতিনির্দেশিত।
গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার:এমিক্যাসিন অতি দ্রুত প্লাসেন্টা অতিক্রম করে যা ভ্র“ণের রক্তসংবহনতন্ত্র ও এমনিওটিক ফ্লুইডে প্রবেশ করে ভ্র“ণের শ্রবণ শক্তির মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। স্তন্যদানকালে ব্যবহার সুপ্রতিষ্ঠিত নয়।