প্যারাসিটামল ব্যবহারে সাবধানতা

লোকমুখে সবচে প্রচলিত একটি নাম “নাপা” এই ঔষধের মুল উপাদান হচ্ছে প্যারাসিটামল।শরীরের ব্যাথা কমাতে সবচে বেশী যে ওষুধ ব্যবহৃত হয় তা প্যারাসিটামল। মাথাব্যথা, গলাব্যথা, পেশির ব্যথা, দাঁতের ব্যাথা ঋতুকষ্ট ইত্যাদিতে প্যারাসিটামল খুবই কার্যকর।

চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়াই এটি বিক্রি হয় তাই যে কেউ সহজে কিনতে পারেন। তবে প্যারাসিটামল ব্যবহারেও চিকিৎসকের পরামর্শ ও সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।মাথাব্যথা, গলাব্যথা, পেশির ব্যথা, দাঁতের ব্যথা, ঋতুকষ্ট ইত্যাদিতে প্যারাসিটামল খুবই কার্যকর। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৫০০ মিলিগ্রামের একটি ট্যাবলেট, কখনও প্রয়োজনে দুটিও খেতে হতে পারে।

২৪ ঘণ্টায় ডাক্তাররা সাধারনত তিন থেকে চারবার প্যারাসিটামল খাওয়ার পরামর্শই দেন। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে, ২৪ ঘণ্টায় ৪ গ্রাম বা ৪ হাজার মিলিগ্রামের বেশি প্যারাসিটামল খাওয়া যাবে না।গা ব্যথা বা জ্বরের জন্য সর্বোচ্চ দুই থেকে তিন দিন পর্যন্ত প্যারাসিটামল খাওয়া যেতে পারে। তারপরও যদি সমস্যা না কমে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে নিদিষ্ট মাত্রায় প্যারাসিটামল ব্যবহার করলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সাধারণত গুরুতর নয়। তবে শিশুদের ক্ষেত্রে বয়স আর ওজন অনুযায়ী প্যারাসিটামল দেওয়া উচিত। তাই শিশুদের প্যারাসিটামল খাওয়ানোর ক্ষেত্রে আগে চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই নিতে হবে।

৪ হাজার বা ৪ গ্রাম (৫০০ মিগ্রা এর ৮ টি) মিলিগ্রামের বেশি প্যারাসিটামল খাওয়া যাবে না । কারণ তাতে কিডনি ও লিভারের মারাত্মক ক্ষতির ঝুঁকি থাকে। কিডনি বা লিভার তখন বেশী পরিমান ওষুধ দেহ থেকে নিষ্ক্রান্ত করতে পারে না দেহে জমা থেকে টক্সিসিটি (বিষক্রিয়া) তৈরী করতে পারে।

সাম্প্রতিক এক গবেষণার পর সুইডেনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা দাবি করেছেন, গর্ভাবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া মাত্রাতিরিক্ত প্যারাসিটামল খেলে অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপার অ্যাকটিভিটি ডিসর্ডার বা অটিস্টিক স্পেকট্রাম ডিসর্ডার- এর মতো মারাত্মক স্নায়ুরোগ দেখা দিতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *