গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্স, অথবা জি.আই. হচ্ছে কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাদ্যদ্রব্য গ্রহণের পর রক্তের গ্লুকোজ বা শর্করা কতোটুক বাড়তে পারে তার এক ধরণের পরিমাপ। কিছু কিছু খাদ্য রক্তের শর্করা অতিরিক্ত পরিমাণের বাড়িয়ে দেয়, এবং কিছু খাদ্যের তেমন একটা প্রভাব থাকেনা। এটি মূলত সংখ্যা দ্বারা প্রকাশিত ও তুলনা করা হয়। এমনও হতে পারে, দুটি খাদ্যের কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ সমান, কিন্তু তাদের প্রভাব ভিন্ন, তাই তাদের গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্স ভিন্ন হয়ে থাকে। যার জি.আই. যত কম, তার গ্লুকোজ লেভেল বাড়ানোর ক্ষমতা তত কম। যারা ডায়াবেটিক রোগী, তাদের উচিত খাদ্যের জি.আই. দেখে নিয়ে তারপর তাদের মীল প্ল্যান করা।
সাধারণত, জি.আই. যদিঃ
৫৫ অথবা কম – লো (ভাল)
৫৬-৬৯- মিডিয়াম
৭০ অথবা তার থেকেই বেশি- হাই (ক্ষতিকর)
এখন আসুন আমরা দেখে নেই, এই তিন বিভাগে কি ধরণের খাবার থাকতে পারে।
লো (Low):
· ওটস
· পাস্তা
· মিষ্টি আলু
· ভুট্টা
· বেশির ভাগ ফল
· ডাল
· মটর
মিডিয়াম (Mediam):
· লাল চাল
· বাসমতী চাল
· লাল আটার রুটি
হাই(High):
· সাদা চাল
· সাদা আটার রুটি
· তরমুজ
· আনারস
· চিড়া
· পপকর্ন
· কর্নফ্লেক্স
খাদ্যদ্রব্য ক্রয়ের আগে অবশ্যই প্যাকেটের গায়ে জি.আই. দেখে কিনবেন।
এছাড়াও অন্যান্য কারণে জি.আই. বেড়ে যেতে পারে। যেমন, পাকা ফলে সাধারণত গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্স বেশি থাকে এবং ফল যত বেশি পাকবে এর সংখ্যা তত বাড়বে। লো জি.আই খাদ্যসামগ্রী সাধারণত ওজোন কমাতে সাহায্য করে, কিন্তু হাই জি.আই. খাদ্য থেকে দ্রুত এনার্জি পাওা যায়। যারা খুব শারীরিক পরিশ্রম করে থাকে, তারা হাই জি.আই. খাদ্যকে বেশি গুরুত্ব দিবে, এবং যাদের ডায়েবিটিস আছে অথবা হওার সম্ভাবনা আছে, তারা লো খাদ্যকে বেশি গুরুত্ব দিবে।
পছন্দের খাবার খাওয়া একদম ছেড়ে দিবেন, তা কি হয়? খাওয়া যাবে অবশ্যই, তবে সল্প পরিমাণে। তাহলেই রক্তের গ্লুকোজে ভারসাম্য বজায় রাখার পাশাপাশি সুস্থ থাকবেন। মনে রাখবেন, স্বাস্থ্যই সব থেকে গুরুত্বপুর্ণ সম্পদ।