তাহলে কিছু কমন সমস্যা তার প্রতিষেধক ও সহায়ক খাদ্যাভ্যাস জেনে নেওয়া যাক।
১/গ্যাস্ট্রিক
ঔষধঃ ওমিপ্রাজল, আইসোওমিপ্রাজল,প্রোটন পাম্প ইনহিবিটর
সহায়ক খাবারঃ শশা,দই,পেঁপে,কমলা,জিরা,দারুচিনি, মৌরি,আদা,লবঙ্গ,এলাচ, পুদিনা ইত্যাদি।
২/মাথা ব্যাথা
ঔষধঃ ফ্লুনারিজিন,টোলফেনামিক এসিড,জোলমিট্রিপট্যান
সহায়ক খাবারঃ চা, কফি,চেরি,পালংশাক, ভুট্টা, তিসি,তরমুজ,কলা,পুদিনা ইত্যাদি।
৩/হাই প্রেসার
ঔষধঃ লোসারট্যান পটাসিয়াম, এ্যামলোডিপাইন
সহায়ক খাবারঃ রসুন,মাশরুম, কলা,লেবু,তরমুজ,আম,তেতুল,কাজুবাদাম ইত্যাদি।
৪/লো প্রেসার
ঔষধঃ ফ্লুড্রোকরটিজোন,মিডোড্রিন,NSAIDs,ক্যাফেইন
সহায়ক খাবারঃডিম,মসুর ডাল, মাংস,পনির,কমলা,কলিজা,আঙ্গুর,মাছ ইত্যাদি।
৫/রক্তশূন্যতা
ঔষধঃ ইপোয়েটিন,নানড্রোলোন
সহায়ক খাবারঃডিম,মাছ,মাংস,বেদানা,গাজর,পালংশাক, কচুশাক,স্ট্রবেরি,সবুজ সবজি ইত্যাদি।
৬/আর্থ্রাইটিস
ঔষধঃNSAIDs,স্টেরয়েডস
সহায়ক খাবারঃ রসুন,পেঁয়াজ, বেরি,বাদাম,গ্রীন টি,সবুজ শাকসবজি,ডিম, দুধ ইত্যাদি।
৭/ডায়রিয়া
ঔষধঃ লোপেরামাইড,কাওপেক্টেট
সহায়ক খাবারঃ আলু,রুটি,ডিম,কাঁচাকাল, টকদই ইত্যাদি।
৮/কোষ্ঠকাঠিন্য
ঔষধঃ মিল্ক অব ম্যাগনেশিয়া,ম্যাগনেশিয়াম সাইট্রেট,ল্যাকটিটল
সহায়ক খাবারঃ আপেল,মসুর ডাল,মটর,কমলা,ব্রকলি,নাশপাতি,পালংশাক, গাজর ইত্যাদি।
উপরোক্ত সমস্যাতে যদি আমরা সঠিক ঔষধের সাথে কিছু সহায়ক খাবারও গ্রহন করি তাহলে ঔষধও আমাদের শরীরের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সাহায্য করবে এবং আমরা দ্রুত আরোগ্য লাভ করবো ও সুস্থ জীবন পাবো। তবে ঔষধ গ্রহণের পুরবে রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
আমাদের সবারই উচিৎ আজেবাজে খাবার না খেয়ে শরীরের প্রয়োজনীয়তা অনুসারে পুষ্টিকর খাবার গ্রহনের অভ্যাস গড়ে তোলা কারণ আমাদের শরীরের চালিকা শক্তি আসে খাবার থেকে আবার রোগ-বালাই ছড়ায়ও খাবার থেকে তাই সঠিক ও পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস সবারই গড়ে তোলা উচিৎ।
লেখক: ফার্মেসি বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।