“বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস ২০২২” ২৫ই সেপ্টেম্বর নিঃসন্দেহে প্রত্যেক ফার্মাসিস্ট এর জন্য একটি গৌরবময় দিন। “বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস ” শুধুমাত্র ফার্মাসিস্টদের পেশাকে উৎযাপন করার মাধ্যমই নয় বরং এই দিন ফার্মাসিস্টদের পেশা সম্বন্ধে স্বচ্ছ ধারণা এবং সঠিক তথ্য বিশ্বের সকল স্তরের মানুষের কাছে উপস্থাপন করার সুযোগ করে দেয়।
ঔষুধ তৈরি এবং তার সঠিক ব্যবহার নিশ্চিতকরণে ফার্মাসিস্টদের প্রত্যক্ষ ভূমিকা সম্পর্কে সাধারণ জনগণকে অবগত করিয়ে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করার জন্য এই দিন একটি উপযুক্ত মাধ্যম এবং এ উদ্দেশ্য নিয়ে এই বছর পালিত হচ্ছে ১২ তম ‘ বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস’।
বিশ্বের বড় বড় দেশে সবচেয়ে বিশ্বস্ত পেশার মধ্যে ফার্মাসিস্টরা শীর্ষ অবস্থানে আছে। কিন্তু দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে বাংলাদেশে এই পেশার চিত্র ভিন্ন। এর মূল কারণ, বাংলাদেশে “Patient Oriented Service” নেই। ফলশ্রুতিতে, রোগীর সাথে একজন ফার্মাসিস্টের সরাসরি যোগাযোগ নেই বললেই চলে। ঔষুধ সম্পর্কে রোগীকে নির্ভুল তথ্য প্রদান করা এবং ঔষুধের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য কোনো যোগ্য লোকের নিয়োগ নেই।
এই সমস্যা নিরসনের একমাত্র উপায় ‘হসপিটাল ফার্মাসিস্ট’ নিয়োগ দেওয়া। হসপিটাল ফার্মাসিস্টরাই রোগীকে যথাযথ দিকনির্দেশনা দেয়ার মাধ্যমে ঔষুধের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করে চিকিৎসার মান উন্নয়ন করবে। তাই “ক্রেতার সাথে সম্পৃক্ততা” নয় বরং “রোগীর সাথে সম্পৃক্ততা” এই লক্ষ স্থির করে অতিদ্রুত হসপিটাল ফার্মাসিস্ট নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া ঔষুধের সুষ্ঠু প্রয়োগ নিশ্চিত করা অসম্ভব। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির দাবি হসপিটাল ফার্মেসি বাস্তবায়ন করে চিকিৎসার মান নিশ্চিত করা।
লেখক: ফার্মেসি বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।