সারা বিশ্বকে করোনার ‘ভ্যাকসিন’ দিতে সবচেয়ে বড় প্ল্যান্ট তৈরি করেছে চীন

পৃথিবী কে করোনা মুক্ত করতে নিরন্তর চেষ্টা করে চলেছেন বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা । চেষ্টা চলছে একটা ওষুধ বা ভ্যাকসিন তৈরির । সফলতা আসে নি এখনও। তবে আগেভাগেই চীন বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভ্যাকসিন প্ল্যান্ট নির্মাণ করে ফেলেছে ইতোমধ্যে । একবার প্রতিষেধক সফল হলেই বছরে প্রায় ১০ কোটি ভ্যাক্সিন উৎপাদনে সক্ষম এই প্ল্যান্ট।

প্ল্যান্টটির নির্মাণকারী সংস্থা দ্য ফোর্থ কনস্ট্রাকশান কোম্পানি লিমিটেড জানিয়েছে বিএসএল-৩ পদ্ধতিতে কাজ করতে সক্ষম। এর আগে এই পদ্ধতিতে কাজ হয়েছে সার্স ও মার্সের ক্ষেত্রেও। ১৯৫৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হুবেই ভিত্তিক এই সংস্থা অ্যান্টিবডি, সেল থেরাপি এবং ইনসুলিন উৎপাদনের কাজ করে।

এপ্রিল মাসে চীনের সিনোভেক বায়োটেক নামক আরেক প্রতিষ্ঠান তাদের তৈরি প্রতিষেধকের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালিয়েছে। যদি তারা সফলতার মুখ দেখে, তাহলে তারাও বিপুল পরিমাণ প্রতিষেধক উৎপাদন করতে সক্ষম হবে সিনোভেকে নিজস্ব ফার্ম তৈরির জন্য ৭০ হাজার বর্গকিলোমিটার জমি দিয়েছে বেইজিং প্রশাসন ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ১১ মে এর তথ্য অনুযায়ী- এখনও পর্যন্ত ৮ টি প্রতিষেধকের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে। যার মধ্যে চারটি চীনের। আশার আলো দেখিয়ে ট্রায়ালের সেকেন্ড ফেজ এ প্রবেশ করেছে অ্যাডিনোভাইরাস ভেক্টর।

চীনের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল জানিয়েছেন, সেপ্টেম্বরেই আসতে পারে করোনা প্রতিষেধক। যা প্রথমে স্বাস্থ্যকর্মীদের দেওয়া হবে । তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অবশ্য বলছে ভাইরাসের প্রতিষেধক বাজারে আসতে আরো অন্তত ১২ থেকে ১৮ মাস সময় লাগবে। কিংবা তাএই সময়ের মধ্যে নাও পাওয়া যেতে পারে।

তবে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা অনেকটাই আশাবাদী যে যদি সব কিছু ঠিক থাকলে তাদের ভ্যাকসিন সেপ্টেম্বরেই বাজারে আসবে।

জিনিউজ অবলম্বনে ।

Largest vaccine plantVaccinesঅক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়অ্যাডিনোভাইরাস ভেক্টর।অ্যান্টিবডিইনসুলিনক্লিনিক্যাল ট্রায়ালদ্য ফোর্থ কনস্ট্রাকশান কোম্পানি লিমিটেডভ্যাকসিনভ্যাকসিন প্ল্যান্টসিনোভেক বায়োটেকসেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলসেল থেরাপি
Comments (০)
Add Comment