দেশের শীর্ষস্থানীয় ওষুধ প্রস্তুতকারী ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের অ্যান্টিএরিথমিক ড্রাগ ফ্লেকিনাইড অ্যাসিটেট (৫০, ১০০ ও ১৫০ মিলিগ্রামের ট্যাবলেট) যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) অনুমোদন পেয়েছে।অ্যান্টিএরিথমিক ড্রাগ মূলত ট্যাকিকার্ডিয়া ও অ্যাট্রিয়াল ফাইব্রিলেশনের মতো অনিয়মিত হৃদস্পন্দনের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।
বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান এমপি জানান, এই অনুমোদনটি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে আমাদের উপস্থিতি বাড়াতে এবং শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আমরা কেবল যুক্তরাষ্ট্রেই নয়, বৈশ্বিকভাবে জেনেরিক পণ্য বিকাশ, বিতরণ ও উৎপাদনে আমাদের গবেষণা ও উন্নয়ন অব্যাহত রাখবো।
এটি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে অনুমোদিত বেক্সিমকো ফার্মার অষ্টম নিউ ড্রাগ অ্যাপ্লিকেশন (এএনডিএ)। ২০১৫ সালের জুনে বেক্সিমকো যুক্তরাষ্ট্রের এফডিএ’র অনুমোদন লাভ করেছিলো। ফ্লেকিনাইড অ্যাসিটেট থ্রিএম ফার্মাসিউটিক্যালসের ‘টাম্বোকোর’ ৫০, ১০০ ও ১৫০ মিলিগ্রামের জেনেরিক সমতুল্য। আইকিউভিআইএ’র বাজার সমীক্ষা অনুযায়ী, ফ্লেকিনাইড অ্যাসিটেটের বার্ষিক বাজার প্রায় ৫০ মিলিয়ন ডলার।
১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে কোম্পানিটি বিশ্বজুড়ে মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সুস্বাস্থ্যে সমসাময়িক ওষুধ সরবরাহে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কোম্পানির জেনেরিকের বিস্তৃত পোর্টফোলিও রয়েছে। যেমন; ট্যাবলেট, ক্যাপসুল, লিকুইড, সেমি সলিড, ইন্ট্রাভিনাস ফ্লুইড, মিটার-ডোজ ইনহেলার, ড্রাই পাউডার ইনহেলার, জীবাণুনাশক চোখের ড্রপ, ইনসুলিন, প্রিফিল্ড সিরিঞ্জ, ইনজেকটেবলস, নেবুলাইজার ইত্যাদি। বেক্সিমকো ফার্মার অত্যাধুনিক উৎপাদন সুবিধা যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জিসিসি, ব্রাজিলসহ বিভিন্ন দেশের আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের দ্বারা অনুমোদিত।