বর্তমান বিশ্ব প্রযুক্তিগত দিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে, উন্নত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা। চিকিৎসা সেবার উন্নয়নে ফার্মাসিস্টদের অবদান অনস্বীকার্য। যমুনা নদীর কোল ঘেষে খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান। গ্রামীণ পল্লি প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের মাঝে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান। এখানে অনেকগুলো বিভাগের পাশাপাশি ফার্মেসী অন্যতম একটি বিভাগ৷
খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসী বিভাগের প্রতিষ্ঠার পর থেকে ফার্মেসী বিভাগ যথেষ্ট সুনামের সাথে লেখাপড়ার মান বজায় রেখে উত্তরোত্তর এগিয়ে চলেছে। সময় গড়িয়েছে, শিক্ষার্থী সংখ্যা ক্রমশই বেড়েছে। আসলে, এর পেছনে বড় অবদান রেখে চলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগের রত্নতুল্য বিভাগীয় প্রধান ড. ফজলে রাব্বি শাকিল আহমেদ। যিনি লোকচক্ষুর আড়ালে থেকে নিরবেই নিজের কাজের কৃতিত্ব না নিয়েই বিভাগকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ভালোবাসেন৷ ফার্মেসীর প্রতি ভালোবাসায় অন্তপ্রাণ নিরবে থাকা এই মানুষটির কারণেই এগিয়ে যাচ্ছে ফার্মেসী বিভাগ।
বিভাগীয় প্রধান হিসেবে যোগদানের পর থেকেই যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ফার্মেসী বিভাগকে সমান তালে সামনে এগিয়ে নিয়ে গেছেন এবং ক্রমশ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বিনা কৃতিত্বে ফার্মেসীর অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করে চলেছেন। সর্বদায় তিনি চান তার সকল শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার পাশাপাশি নৈতিক গুণাবলি অর্জন করুক৷ এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কর্মকান্ডে ফার্মেসী বিভাগ অংশ নিয়ে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে চলেছে বছরের পর বছর ধরে। এছাড়াও ফার্মেসী বিভাগের সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা মন্ডলীরা তাদের আন্তরিক পিতৃতুল্য ও মাতৃতুল্য মধুর ব্যবহার ও যুগোপযোগী পাঠদানের মাধ্যমে ফার্মেসী ডিপার্টমেন্টকে নিয়ে এসেছেন এক বিরাট প্লাটফর্মে৷ এছাড়াও ল্যাব এসিস্ট্যান্ট ও ফার্মেসী বিভাগের সহকারী বিভাগীয় সচিব তাদের অবদানও রীতিমতো প্রশংসার দাবিদার৷
এখানে প্রতিযোগিতামূলক ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে মেধাতালিকায় স্থান করে নিয়েই ভর্তিযুদ্ধে অন্যকে পেছনে ফেলে নিজেকে জায়গা করে নিতে হয়। এবারে ১৮ তম ব্যাচের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে ১৫ই জুন, ২০২২। এদিন সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগের সামনে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে ভীড় জমাতে থাকেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা ও তাদের সাথে আগত স্বজনরা। ফার্মেসী বিভাগের দেওয়া তথ্য মতে ৩০ টি আসনের জন্য ভর্তিযুদ্ধে লড়াই করে প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থী। তবে আবেদন করেছিল প্রায় ৬৯ জন শিক্ষার্থী। সকাল ১১.০০ টায় শুরু হয়ে উক্ত পরীক্ষাটি ১১.৫০ এ শেষ হয়।
পরীক্ষা শেষে কয়েকজন পরীক্ষার্থীর সাথে কথা বলে জানা যায় তারা উৎসবমুখর পরিবেশে পরীক্ষা দিয়েছেন। অনেক দুরের পরীক্ষার্থীরা এসেছিলেন পরীক্ষা দিতে। খাগড়াছড়ি থেকে আগত একজন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন, তাকে জিজ্ঞেস করায় সে বলে, সম্পূর্ণ রাজনীতিমুক্ত ও নিরাপদ র্যাগিং মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরম পরিবেশ তাকে আকৃষ্ট করেছে। এছাড়াও নরসিংদী, টাংগাইল, গাজীপুর সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন।
ফার্মেসী বিভাগের শিক্ষক জনাব সঞ্জয় দত্ত, জনাবা নাজনীন শাহরিয়া, জনাব শিহাব উদ্দিন সোহাগ স্যার ও জনাব ইমরান মাহমুদ, জনাব ইমদাদুল হাসান মুকুল ও বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে মাত্র ২ ঘন্টায় খাতা মূল্যায়ন শেষে ফল ঘোষণা করা সম্ভব হয়েছে। উক্ত পরীক্ষা পর্যবেক্ষণে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. হোসেন রেজা, রেজিস্টার মিজানুর রহমান সেলিম ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সহ সকলে সন্তোষ প্রকাশ করেন। সবশেষে সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ফার্মেসী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান।