ফার্মাসিস্ট, যারা কেমিস্ট বা মেডিসিন ইঞ্জিনিয়ার নামেও পরিচিত, যারা ওষুধ নিয়ন্ত্রণ, প্রণয়ন, সংরক্ষণ এবং বিতরণ করেন। ফার্মাসিস্টরা পরামর্শ এবং কাউন্সেলিং প্রদান করে যে কীভাবে ওষুধগুলি সর্বাধিক সুবিধা, ন্যূনতম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এবং ওষুধের মিথস্ক্রিয়া এড়াতে ব্যবহার করা উচিত। অসুস্থ মানুষ শরণাপন্ন হয় চিকিৎসকের, রোগীর সমস্যা জেনে রোগ নিরাময়ের জন্য ওষুধ লিখেন চিকিৎসক। আর গুণগত মান ঠিক রেখে কঠোর পরিশ্রম ও মেধা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে সেই ওধু তৈরি করছেন একজন দক্ষ ফার্মাসিস্ট। সারা পৃথিবীতে যত রকমের ওষুধ রোগীরা ব্যবহার করে তার পেছনে একমাত্র অবদান ফার্মাসিস্টদেরই। কোনো ওষুধ তৈরীর পদ্ধতি এবং উপকরণ সম্পর্কে ফার্মাসিস্টদের সম্পূর্ণ জ্ঞান থাকে। ওষুধের গুণগতমান, তার বৈধতা, তার উপযোগিতা, তার কার্যকারিতা ইত্যাদি সবই ফার্মাসিস্টদের উপর নির্ভর করে। রোগীদের কোন ওষুধ কোন সময় খাওয়া উচিত এবং কোন সময় খাওয়া উচিত না এই ব্যাপারেও তথ্য প্রদান করে ফার্মাসিস্টরা।
তাই চিকিৎসা বিজ্ঞানে তাঁদের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বের সকল দেশের ফার্মাসিস্টরা একযোগে এই দিনটি উদযাপন করে সমাজের প্রতি তাঁদের অবদান এবং কাজকে আরও বিস্তৃতভাবে মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্য।এই দিনটি উদযাপনে কিছু লক্ষ্যের মধ্যে অন্যতম হল স্বাস্থ্য পরিসেবা ভালো করা, ওষুধ পরিসেবা সুগম করা, ফার্মাসিস্টদের সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা ইত্যাদি। এই দিনটি স্মরণীয় রাখতে সারা পৃথিবী জুড়ে নানা অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। আলোচনা সভা, সেমিনার, চিত্রপ্রদর্শনী, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শনী ও বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ফার্মাসিস্টদের প্রতি জনসচেতনতা গড়ে তোলা হয়। প্রতিটি ফার্মাসিস্টের কাছে ‘ওয়ার্ল্ড ফার্মাসিস্ট ডে’ আসে কাজের অনুপ্রেরণা বাড়িয়ে দিতে।আশা করা হচ্ছে ভবিষ্যতে এই দিনটি উদযাপনের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে আরও বেশি করে সচেতনতা গড়ে তোলা যাবে।
এই বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবসে,আমাদের ফার্মাসিস্টদের তাদের প্রাপ্য শ্রদ্ধা এবং আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই ।দেশ এবং জনগণের কাছে নিরাপদ ওষুধ সেবা পৌঁছে দিতে সহায়তা করি।
লেখক: শিক্ষার্থী, ফার্মেসি বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।