ফার্মাসিস্ট ও বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবসের প্রেক্ষাপট

জান্নাতুল মাওয়া, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে

0
“Pharmacy united in action for a healthier world” এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে নিয়ে প্রতিবারের মতো এবারও পুরো বিশ্বে পালিত হতে যাচ্ছে “World Pharmacists Day” স্বাস্থ্য খাতে ফার্মাসিস্টদের অবদান, অগ্রগতি এবং নিঃস্বার্থভাবে কাজ করা সকল ফার্মাসিস্টদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আন্তর্জাতিক ফার্মাসিউটিক্যাল ফেডারেশন কাউন্সিল এর প্রতিষ্ঠিত সময়কাল ২৫ সেপ্টেম্বর, ১৯১২ সাল কে বিবেচনায় রেখে ২৫ সেপ্টেম্বর কে “World Pharmacists Day” ‘নির্বাচন করে। ফার্মেসি পেশার কর্মরতদের উৎসাহ প্রদান এবং এই পেশা সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে ২০১০ সাল থেকে সারাবিশ্বে এই দিবস পালিত হয়ে আসছে।

ফার্মাসিস্ট, যারা কেমিস্ট বা মেডিসিন ইঞ্জিনিয়ার নামেও পরিচিত, যারা ওষুধ নিয়ন্ত্রণ, প্রণয়ন, সংরক্ষণ এবং বিতরণ করেন। ফার্মাসিস্টরা পরামর্শ এবং কাউন্সেলিং প্রদান করে যে কীভাবে ওষুধগুলি সর্বাধিক সুবিধা, ন্যূনতম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এবং ওষুধের মিথস্ক্রিয়া এড়াতে ব্যবহার করা উচিত। অসুস্থ মানুষ শরণাপন্ন হয় চিকিৎসকের, রোগীর সমস্যা জেনে রোগ নিরাময়ের জন্য ওষুধ লিখেন চিকিৎসক। আর গুণগত মান ঠিক রেখে কঠোর পরিশ্রম ও মেধা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে সেই ওধু তৈরি করছেন একজন দক্ষ ফার্মাসিস্ট। সারা পৃথিবীতে যত রকমের ওষুধ রোগীরা ব্যবহার করে তার পেছনে একমাত্র অবদান ফার্মাসিস্টদেরই। কোনো ওষুধ তৈরীর পদ্ধতি এবং উপকরণ সম্পর্কে ফার্মাসিস্টদের সম্পূর্ণ জ্ঞান থাকে। ওষুধের গুণগতমান, তার বৈধতা, তার উপযোগিতা, তার কার্যকারিতা ইত্যাদি সবই ফার্মাসিস্টদের উপর নির্ভর করে। রোগীদের কোন ওষুধ কোন সময় খাওয়া উচিত এবং কোন সময় খাওয়া উচিত না এই ব্যাপারেও তথ্য প্রদান করে ফার্মাসিস্টরা।

তাই চিকিৎসা বিজ্ঞানে তাঁদের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বের সকল দেশের ফার্মাসিস্টরা একযোগে এই দিনটি উদযাপন করে সমাজের প্রতি তাঁদের অবদান এবং কাজকে আরও বিস্তৃতভাবে মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্য।এই দিনটি উদযাপনে কিছু লক্ষ্যের মধ্যে অন্যতম হল স্বাস্থ্য পরিসেবা ভালো করা, ওষুধ পরিসেবা সুগম করা, ফার্মাসিস্টদের সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা ইত্যাদি। এই দিনটি স্মরণীয় রাখতে সারা পৃথিবী জুড়ে নানা অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। আলোচনা সভা, সেমিনার, চিত্রপ্রদর্শনী, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শনী ও বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ফার্মাসিস্টদের প্রতি জনসচেতনতা গড়ে তোলা হয়। প্রতিটি ফার্মাসিস্টের কাছে ‘ওয়ার্ল্ড ফার্মাসিস্ট ডে’ আসে কাজের অনুপ্রেরণা বাড়িয়ে দিতে।আশা করা হচ্ছে ভবিষ্যতে এই দিনটি উদযাপনের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে আরও বেশি করে সচেতনতা গড়ে তোলা যাবে।

এই বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবসে,আমাদের ফার্মাসিস্টদের তাদের প্রাপ্য শ্রদ্ধা এবং আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই ।দেশ এবং জনগণের কাছে নিরাপদ ওষুধ সেবা পৌঁছে দিতে সহায়তা করি।

লেখক: শিক্ষার্থী, ফার্মেসি বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।

মতামত দিন
Loading...