প্রতিবছর ২৫শে সেপ্টেম্বর “বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস” হিসেবে পালিত হয়ে থাকে। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও, ২০২৩ সালের “বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস” পালিত হতে চলেছে। এবছরের প্রতিপাদ্য হচ্ছে “স্বাস্থ্য ব্যবস্থার শক্তিশালীকরণে ফার্মেসি”।
এবছরের মূল বিষয়বস্তুটি হচ্ছে বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে স্বাস্থ্যে ব্যবস্থার উন্নতিতে ফার্মাসিস্টদের অবদানকে তুলে ধরা। একজন ফার্মাসিস্ট, ডাক্তার এবং রোগীদের মধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করে থাকেন। তিনি রোগীদেরকে ঔষধের কাঙ্ক্ষিত প্রভাব এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে অব্যাহত করে রোগীর সুচিকিৎসা নিশ্চিত করেন। চিকিৎসকরা রোগীদের ঔষুধ লিখে দেন কিন্তু ঔষুধে প্রাণের সঞ্চার ফার্মাসিস্টদের দ্বারাই হয়ে থাকে।
গত কয়েক বছরে, ফার্মেসি পেশাটি পেশাদার পরিষেবা সরবরাহের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রসারিত হয়েছে এবং স্বাস্থ্যসেবার প্রতিটি ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পেশা হিসাবে স্বীকৃত হয়েছে। ফার্মাসিস্ট কীভাবে স্বাস্থ্যখাতে তাদের অপরিহার্য অবদান অব্যাহত রেখে চলেছেন তা কেবল করোনা মহামারির মতো অতীতের মহামারীগুলোতে ফার্মাসিস্টদের সৎস্ফুর্ত ভাবে অংশগ্রহণের দিকে দৃষ্টি রাখলেই বোঝা সম্ভব।
বাংলাদেশের ফার্মাসিস্টরা ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্পে সফলভাবে অবদান রেখে চলেছেন কিন্তু দুঃখের বিষয় হল আমাদের দেশে ফার্মাসিস্টরা রোগীর স্বাস্থ্যসেবায় সরাসরি ভূমিকা রাখতে পারছেন না কারণ আমাদের দেশে কোনো হসপিটাল ও কমিউনিটি ফার্মেসি নেই। পরিশেষে একটি কথাই বলতে চাই যে বাংলাদেশের ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফার্মাসিস্টরা ঔষধশিল্পে অসামান্য অবদান রেখে চলেছে এর পাশাপাশি হসপিটাল এবং ক্লিনিক্যাল ফার্মেসি চালু করা মাধ্যমে দেশের ফার্মাসিস্টরা আমাদের স্বাস্থ্যসেবায় দ্বাররক্ষীর মতো ভূমিকা পালন করতে পারবেন।
লেখক:শিক্ষার্থী, ফার্মেসি বিভাগ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।