হসপিটাল ফার্মেসী কি ও কেন?

[su_dropcap style=”simple” size=”5″]ব[/su_dropcap]য়সের ভারে হোক কিংবা মারাত্মক ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে আপনি যখন হাসপাতালের বিচানায় কাতরাচ্ছেন, তখন ডাক্তারের পাশাপাশি একটি অভিজ্ঞ টিম আপনাকে সার্বক্ষণিক মনিটর করবে করার জন্য কাজ করে যাবে।ডাক্তারের প্রেসক্রাইব করা কোন ওষুধে অসঙ্গতি কিংবা স্বাস্থ্যঝুঁকির সম্ভাবনা থাকলে তা ডাক্তারের সাথে আলোচনা করে আপনার নিরাপদ ও কার্যকর ওষুধ প্রদানে কাজ করবে একদল ওষুধ বিশেষজ্ঞ টিম।

সেবা দিচ্ছেন একজন হসপিটাল ফার্মাসিস্ট । ছবিঃফার্মাসিউটিক্যাল জার্নাল 

 

প্রেসক্রাইব করা ওষুধ আপনার ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে হলে একটি টিম আপনাকে ক্রয় সীমার মধ্যে কার্যকর ওষুধ গ্রহণে সহায়তা করবে। চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে ওষুধের প্বার্শপ্রতিক্রিয়া, ওষুধের যথা ব্যবহারবিধি ও খাদ্য গ্রহণ সহ সার্বিক দিকনির্দেশনা দিতে একটি টিম কাজ করবে।

হাসপাতালের প্রতিটি ওয়ার্ডে কার্যকর ওষুধ সরবারাহ ও বিতরণে কাজ করবে একটি বিশেষ টিম। স্বাস্থ্যসেবায় নিবেদিত প্রাণ ওইসব টিমের গর্বিত সদস্যদের ফার্মাসিস্ট বলে। বিশ্বের উন্নত দেশসমূহে এমনকি আমাদের প্রতিবেশি পাকিস্তান, নেপাল সহ অনেক দেশে হসপিটাল ফার্মেসী চালু হলেও বাংলাদশে যথেষ্ট যোগ্য ফার্মাসিস্ট থাকা সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত হসপিটাল ফার্মেসীর কার্যক্রম শুরু হয় নাই।

হসপিটাল ফার্মাসিস্ট । ছবিঃফার্মাসিউটিক্যাল জার্নাল

 

ফলে বেশিরভাগ ফার্মাসিস্ট পাড়ি জমাচ্ছেন উন্নত দেশগুলোতে। এতে দেশের স্বাস্থ্যখাত মারাত্নক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।মানুষের অন্যতম মৌলিক অধিকার উন্নত স্বাস্থ্যসেবা বঞ্চিত হচ্ছে দেশের জনসাধারণ। তাই বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থে হসপিটাল ফার্মেসী কার্যক্রম চালু করা একান্ত জরুরী।

লেখক: শিক্ষার্থী, ফার্মেসী বিভাগ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *