বাংলাদেশে ফার্মেসী পরিচালনার জন্য নূন্যতম যে কোর্স সার্টিফিকেটের প্রয়োজন হয় তা হল সি- গ্রেড ফার্মাসিস্ট কোর্স৷ এটিকে ফার্মেসি ফাউন্ডেশন কোর্স বা ফার্মেসী সার্টিফিকেট রেজিষ্ট্রেশন কোর্সও বলা হয়৷ এই সার্টিফিকেট ড্রাগ লাইসেন্স করতে ও নবায়ন করতে প্রয়োজন হয়।যারা কোর্সটি সফলভাবে সম্পন্ন করেন তাদেরকে সি গ্রেড ফার্মাসিস্ট বলা হয়ে থাকে।
চলুন এই সম্পর্কে প্রাথমিক ধারনা নেয়া যাক।এই কোর্সটি নিয়ন্ত্রণ করে বাংলাদেশে ফার্মেসী শিক্ষা ও পেশার নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান ফার্মেসি কাউন্সিল অফ বাংলাদেশ (পিসিবি ) বা বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিল ।
কাউন্সিল থেকে প্রকাশিত সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তি ( ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯) অনুসারে এই কোর্সে বছরে চারটি সেশন পরিচালিত হয়৷ সেশনের মেয়াদ হয় তিন মাস করে। ক্লাশ শেষে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় এবং পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। এরপর সার্টিফিকেট তোলার জন্য আবেদন করতে পারবেন ।
সেশন | ক্লাশ শুরুর সময় |
সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর | সেপ্টেম্বর মাসের ১ম শুক্রবার |
ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি | ডিসেম্বর মাসের ১ম শুক্রবার |
মার্চ থেকে মে | মার্চ মাসের ১ম শুক্রবার |
জুন থেকে আগষ্ট | জুন মাসের ১ম শুক্রবার |
ক্লাশ শুরুর ১৫ দিন আগে আবেদন পত্র বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিলে জমা দিতে হয়। একটি ব্যাচে সবোর্চ্চ ১০০ জন প্রশিক্ষণার্থী নিয়ে পরিচালিত হয়। একটি শাখায় একটি সেশনে সবোর্চ্চ ২টি ব্যাচ পরিচালিত হবে। অর্থাৎ এক শাখায় এক সেশনে ২০০ জন সর্বোচ্চ ভর্তি হতে পারে৷
আচ্ছা এবার দেখা যাক কোর্সে ভর্তি হতে যোগ্যতা কি কি লাগে।
আবেদনকারীকে এস এস সি সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে৷
আবেদনকারীর বয়সসীমা ১৭-৫০ বছরের মধ্যে হতে হবে।
ড্রাগ লাইসেন্স ধারী ফার্মেসীর মালিক নিজে বা তার ফার্মেসীতে কর্মরত এক বা একাধিক ব্যক্তি।
এবার কোর্স ফি ও পরীক্ষা ফি সম্পর্কে জানা যাক৷
কোর্স ফি : ২৩৫০/-
পরীক্ষা ফি : ১৫০০/-
আবেদন ফরম :১০/-
সর্বমোট ৩৮৬০/- বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিলের অনুকুলে পে অর্ডারের মাধ্যমে জমা দিতে হবে৷ এসম্পর্কিত সকল ভ্যাট বা অন্যান্য চার্জ (যদি থাকে) তা আপনাকে বহন করতে হবে৷
কোথায় থেকে আবেদন পত্র সংগ্রহ করবেন?
যোগ্যতাসম্পন্ন আগ্রহী প্রার্থীরা বাংলাদেশ কেমিস্টস এন্ড ড্রাগিস্টস্ সমিতির জেলা শাখা / উপশাখা অফিস থেকে আবেদন ফর্ম সংগ্রহ করতে পারেন।
চলুন এবার দেখি আবেদন পত্রের সাথে কি কি কাগজপত্রাদি জমা দিতে হবে৷
ভর্তি ফরমের সাথে এস এস সি/ সমমানের সনদপত্রের সত্যায়িত কপি।
সংশ্লিষ্ট ফার্মেসির ড্রাগ লাইসেন্সের সত্যায়িত কপি এবং মনোনীত ব্যাক্তির ক্ষেত্রে ফার্মেসীর নিজস্ব প্যাডে মালিক কতৃক প্রত্যয়ন পত্র।
জাতীয় পরিচয় পত্রের সত্যায়িত কপি।
সদ্যতোলা ০২ কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ল্যাব প্রিন্ট ছবি।
নির্ধারিত ফি অফেরতযোগ্য পে অর্ডারের মাধ্যমে জমা করতে হবে৷
কিছু সাবধানতা :
আপনি যদি ভর্তির নির্ধারিত যোগ্যতা ও শর্ত পূরন না করে আবেদন করলে তা বাতিল বলে গন্য হবে এবং যে ফি দিয়েছেন তা আপনাকে ফেরত দেয়া হবে না। এজন্য অাবেদনপত্র সংগ্রহের আগেই দেখবেন সকল যোগ্যতা আছে কি না এবং শর্ত গুলো পূরন করছেন কি না?
সংশ্লিষ্ট কেউ যদি নির্ধারিত ফি এর অতিরিক্ত অর্থ দাবি করে সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিল (০১৩১৫-৫৬৬৫১১, ইমেইল : [email protected]) ও স্থানীয় ঔষধ তত্ত্বাবধায়ক এর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।