গাম্বিয়ার পর ইন্দোনেশিয়ায় কিডনি বিকলে ১৩৩ শিশুর মৃত্যু

0
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তদন্তে শিশুদের ঠাণ্ডাজ্বর ও সর্দিকাশির চিকিৎসার জন্য উপযোগী ৫টি সিরাপে বিপজ্জনক মাত্রায় এথিলিন গ্লাইকোল, ডায়াথিলিন গ্লাইকোল ও এথেলিন গ্লাইকোল বিউটাইল ইথারের উপস্থিতি পাওয়া গেছে.

ইন্দোনেশিয়ায় গুরুতর কিডনি জটিলতায় ১৩৩ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ক্ষতিকর মেডিসিনাল সিরাপ খাওয়ার কারণে ওই শিশুদের মৃত্যু হয়।

দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী বুদি গুনাদি সাদিকিনের বরাতে কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবরে বলা হয়, চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশের ২২ প্রদেশে গুরুতর কিডনি জটিলতায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২৪১ জন এবং তাদের মধ্যে ১৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত এই শিশুদের অধিকাংশেরই বয়স ৫ বছরের কম।

গাম্বিয়ায় ৬৬ শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় ভারতীয় কোম্পানির কাশির সিরাপ নিয়ে তদন্ত
গাম্বিয়ায় ৬৬ শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় ভারতীয় কোম্পানির কাশির সিরাপ নিয়ে তদন্ত

সম্প্রতি পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়াতেও কিডনি বিকল হয়ে ৭০ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ভারতীয় ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানি মেইডেন ফার্মাসিটিক্যালসের তৈরি চারটি সর্দি-কাশির সিরাপ দায়ী এসব মৃত্যুর জন্য।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ওই তদন্তে আরও জানা গেছে, ওই চারটি কফ সিরাপে এথিলিন গ্লাইকল ও ডায়াথিলিন গ্লাইকল নামের দুটি রাসায়নিক উপাদানের বিপজ্জনক মাত্রার উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রাথমিক তদন্তে শিশুদের ঠাণ্ডাজ্বর ও সর্দিকাশির চিকিৎসার জন্য উপযোগী ৫টি সিরাপে বিপজ্জনক মাত্রায় এথিলিন গ্লাইকোল, ডায়াতিলিন গ্লাইকোল ও এথেলিন গ্লাইকোল বিউটাইল ইথারের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। (কিডনি জটিলতায়) মৃত ও আক্রান্ত শিশুদের প্রত্যেকেই এই ৫টি সিরাপের কোনো একটি সেবন করেছিল বলেও আমরা জানতে পেরেছি।

যে সিরাপগুলোতে ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদানের উপস্থিতি পাওয়া গেছে, ইতোমধ্যে সেসব সিরাপের সব ব্যাচ অভ্যন্তরীণ ওষুধের বাজার ও ফার্মেসিগুলো থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেছেন বুদি গুনাদি সাদিকিন।

মতামত দিন
Loading...