ক্যাপসুল এন্ডোস্কপি : এন্ডোস্কপির বিকল্প

ক্যাপসুল এন্ডোস্কপি অন্ত্রের সংক্রমণ সঠিক এবং প্রাথমিক সনাক্তকরণের জন্য একটি নতুন এবং নিরাপদ উপায় । ক্যাপসুলটি একটি বড়ির (পিল) আকারের হয় এতে একটি ছোট ক্যামেরা থাকে যা ভেতরের ছবি তুলে । একে ডায়াগনস্টিক পিলও বলা হয়

এটি সর্বপ্রথম ১৯৯০ এর দশকে ইস্রায়েলের উদ্ভাবক গ্যাভরিয়েল ইদদান আবিষ্কার করেছিলেন।  গ্যাভরিয়েল  ইদদান একজন বৈদ্যুতিক ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন । যিনি এর আগে ইস্রায়েলি সামরিক প্রস্তুতকারক সংস্থায় গাইডেড-মিসাইল প্রযুক্তি বিকাশে কাজ করেছিলেন।

ছবি: গ্যাভরিয়েল ইদদান । রিসার্চ গেট থেকে 

গ্যাভরিয়েল  ইডদানের উদ্ভাবিত প্রথম ক্যাপসুল এন্ডোস্কোপি যন্ত্রের নামকরণ করা হয়েছিল এম টু এ ক্যাপসুল। যা পরবর্তীতে ২০১১ সালের আগস্টে এফডিএ অনুমোদন দেয়। পেটের ভেতরের অংশ দেখার জন্য ব্যাবহার করা হয় ।

এর পর ২০০০ সালে, ইংল্যান্ডের একদল চিকিত্সক  ক্ষুদ্রান্ত্রের অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ নির্ধারণের জন্য একটি নতুন উপকরণের উত্পাদন এবং ব্যবহার করে । তারা একে ক্যাপসুল  এন্ডোস্কোপ নাম দেয়।  ডিভাইস টি  ১১/৮ ইঞ্চি লম্বা এবং ৩/৮ ইঞ্চি প্রশস্ত ছিল। এটি একটি বড় বড়ির আকার ছিল এবং এটিতে  ৮-ঘন্টা চার্জ ধরে রাখতে সক্ষম এমন ব্যাটারি, আলোক উত্স, একটি ক্যামেরা এবং একটি ছোট ট্রান্সমিটার ছিল।

শরীরে প্রবেশের পর, ক্যাপসুলটি মোট ৫৫০০০  চিত্রের জন্য প্রতি সেকেন্ডে ২ টি ছবি নিতে পারত। ৮ ঘন্টা পরে, ক্যাপসুলটি ছবিগুলি একটি কম্পিউটার মনিটরে প্রেরণ করে, এবং যেখানে ছবিগুলি সংরক্ষণ করা হয়  এবং পরে বিশ্লেষণ করার জন্য প্রক্রিয়া করা হয়,  যখন পিলটি তখন নিষ্পত্তি করা হয়।

উন্নত সুরক্ষা এবং নির্ভুলতার কারণে ২০০১ সাল থেকে পিলক্যামের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে । এটি এক্স-রে এবং পেটের টিউমার নির্ণয়ে তেজস্ক্রিয় ট্রেসিংয়ের চেয়ে বেশি সুরক্ষিত ও নিরাপদ । বর্তমানে, পিলক্যাম ক্যাপসুলটি ৭৫ টিরও বেশি দেশে ৫০০০ টিরও বেশি চিকিৎসা সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান প্রায় ১.৫ মিলিয়ন বার ব্যাবহার করেছে । নতুন ওয়্যারলেস ক্যাপসুল এন্ডোস্কোপি অন্ত্রের রোগ নির্ণয়ের জন্য ব্যাপক ভাবে ব্যাবহার করা হচ্ছে ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *