বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস ২০২২ এ আমাদের প্রত্যাশা

মোঃ তাওহীদ ইসলাম
প্রতিবছর ২৫ সেপ্টেম্বর “বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস” হিসাবে পালন করা হয়। সারাবিশ্বের ফার্মাসিস্টরা এই দিনটিকে নানান কার্যক্রমের মধ্যদিয়ে উদযাপন করে থাকেন। এবছর ফার্মাসিস্ট দিবসের প্রতিপাদ্য হয়েছে “Pharmacy united in action for a healthier world”।

এবছরের প্রতিপাদ্যে ফার্মাসিস্ট পেশায় সংহতি এবং একাত্মতার প্রতি জোর দেয়া হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য রক্ষায় ফার্মাসিস্টরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। করোনা মহামারীর কঠিন সময়ে ফার্মাসিস্টরা দক্ষতার সাথে অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের সাথে এক হয়ে এবং সংহতির মাধ্যমে মহামারী মকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশের ঔষধশিল্পে ফার্মাসিস্টরা অসামান্য অবদান রেখে চলেছে।

আমাদের দেশের চাহিদার ৯৮% ঔষধ দেশেই উৎপাদিত হচ্ছে যা আমদের ফার্মাসিস্টদের নিরলস পরিশ্রমের ফলাফল। কিন্তু আমাদের দেশের ফার্মাসিস্টরা সফলভাবে ওষুধশিল্পে অবদান রাখলেও সরাসরি রোগীর সেবায় ভূমিকা রাখতে পারছেন না। কারণ আমাদের দেশে কোনো হসপিটাল বা কমিউনিটি ফার্মাসিস্ট বাবস্থা চালু নাই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুসারে, বিশ্বের ফার্মাসিস্টদের ৫৫ শতাংশ ‘কমিউনিটি ফার্মাসিস্ট’ হিসেবে, ৩০ শতাংশ হসপিটাল ফার্মাসিস্ট হিসাবে , ৫ শতাংশ ফার্মাসিস্ট সরকারি সংস্থায়, ৫ শতাংশ শিক্ষাকার্যক্রমে এবং ৫ শতাংশ ফার্মাসিস্ট ওষুধ কোম্পানিতে নিয়োজিত থাকার কথা।

অথচ, বাংলাদেশ অধিকাংশ ফার্মাসিস্টরা ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিতে কাজ করে। ফলে বাংলাদেশে হসপিটালগুলোতে পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে নাহ। প্রতিবছর আমাদের দেশ থেকে অসংখ্য গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্ট পাশ করে বের হচ্ছে কিন্তু সরাসরি রোগীর সেবা করার সুযোগ না থাকায় তাদেরকে শুধুমাত্র ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিতে কাজ করতে হচ্ছে। দেশের স্বাস্থ্যসেবা মান বৃদ্ধি এবং রোগীর সঠিক চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হলে অনতিবিলম্বে হসপিটাল ফার্মাসিস্ট এবং কমিউনিটি ফার্মাসিস্ট বাবস্থা চালু করতে হবে।

লেখক: ফার্মেসি বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।

বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস
Comments (০)
Add Comment