মেটফর্মিন বাইগুয়ানাইড শ্রেণীর একটি অ্যান্টিহাইপারগ্লাইসেমিক এজেন্ট (যা রক্তে গ্লুকোজ লেভেল কমায়) ,যা টাইপ ২ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনের জন্য ব্যবহৃত হয়। বর্তমানে মেটফরমিন হ’ল টাইপ II ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় ওষুধ এবং বিশ্বব্যাপী কমপক্ষে ১২০ মিলিয়ন লোককে এটি প্রেস্ক্রাইব করা হয়।
মেটফর্মিনকে অ্যান্টিহাইপারগ্লাইসেমিক ড্রাগ হিসাবে বিবেচনা করা হয় কারণ এটি হাইপোগ্লাইসেমিয়া সৃষ্টি না করেই রক্তে গ্লুকোজ ঘনত্বকে হ্রাস করে। এই ড্রাগের আর একটি বিশেষ সুবিধা হ’ল পরিমিত ওজন হ্রাস। মেটফর্মিন হ’ল স্থূলতা যুক্ত ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য পছন্দের ওষুধ।
মেটফর্মিন কানাডায় প্রথম অনুমোদিত হয়েছিল ১৯৭২ সালে, তারপরে ১৯৯৫ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনুমোদন দেয়া হয়। এই ড্রাগটি রেগুলার এবং এক্সটেন্ড রিলিজ ড্রাগ হিসেবে পাওয়া যায়
মেটফর্মিন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
মেটফরমিন ওরাল ট্যাবলেট হালকা বা গুরুতর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে। নীচের তালিকায় মেটফর্মিন গ্রহণের ফলে সম্ভাব্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে।
সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলি হ’ল:
- ডায়রিয়া
- বমি বমি ভাব
- পেট ব্যথা
- বুক জ্বালাপোড়া করা
- গ্যাস (পেট ফাঁপা) হতে পারে
যদি এই প্রভাবগুলি হালকা হয় তবে কয়েক দিন বা কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এগুলি চলে যেতে পারে। যদি তারা আরও তীব্র হয় বা চলে না যায় তবে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
গুরুতর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
গুরুতর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এবং তাদের লক্ষণগুলির মধ্যে
ল্যাকটিক অ্যাসিডোসিস হতে পারে ।যার লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে
- ক্লান্তি,
- দুর্বলতা,
- পেশীর অস্বাভাবিক ব্যথা,
- শ্বাস নিতে সমস্যা
- অস্বাভাবিক ঘুম,
- পেটে ব্যথা,
- বমি বমি ভাব ,
- মাথা ঘোরা ইত্যাদি
হাইপোগ্লাইসেমিয়া (রক্তে গ্লুকোজ লেভেল কমে যাওয়া ) হতে পারে । যার লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে
- মাথা ব্যাথা
- দুর্বলতা
- বিশৃঙ্খলা
- ঝাঁকুনি বা
- বিরক্তি অনুভব করা
- মাথা ঘোরা
- বিরক্তি
- ঘাম
- ক্ষুধা
- দ্রুত হার্ট রেট
মারাত্মক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা গেলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে