ব্যথানাশক ওষুধ ‘টাপেন্টাডল’কে মাদকদ্রব্য ঘোষণা 

0

ব্যথানাশক হিসেবে ব্যবহৃত ‘টাপেন্টাডল’ জাতীয় ওষুধকে মাদকদ্রব্য হিসেবে ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার। মাদকসেবীরা এ জাতীয় ওষুধকে মাদকের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করায় একে ‘খ’ শ্রেণির মাদকদ্রব্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ৮ জুলাই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের তফশিলে যুক্ত করে এ গেজেট প্রকাশ করা হয়।

এতে বলা হয়েছে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রস্তাবমতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগের সুপারিশের ভিত্তিতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৬৫ ধারা অনুযায়ী টাপেন্টাডলকে ‘খ’ শ্রেণির মাদকদ্রব্য হিসেবে তফসিভুক্ত করা হলো।

বাংলাদেশে বিভিন্ন নামে এই ট্যাবলেট উৎপাদন করে দেশের কয়েকটি ঔষধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। কোম্পানিভেদে প্রতি ট্যাবলেট ১২ টাকা থেকে ১৭ টাকা দরে বিক্রি হয়।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৬৫ ধারায় বলা হয়েছে, সরকার চাইলে গেজেটে প্রজ্ঞাপন জারি করে তফশিল সংশোধন করে কোনো মাদকদ্রব্যের নাম অন্তর্ভুক্ত বা বাদ দিতে পারবে। ধরন ও ব্যাপকতার ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ধরনের মাদককে ‘ক’, ‘খ’ এবং ‘গ’ শ্রেণিতে ভাগ করে সেগুলোকে সময়ে সময়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের তফসিলভুক্ত করা হয়।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী, তফসিলে উল্লেখিত কোনো দ্রব্য বা মাদকদ্রব্যের সঙ্গে অন্য যে কোনো দ্রব্য একীভূত, মিশ্রিত বা দ্রবীভূত থাকলে সে-সব দ্রব্যকেও মাদকদ্রব্য হিসেবে গণ্য করা হয়।

দাম কম হওয়ায় ও সহজে পাওয়া যায় বলে টাপেন্টাডল জাতীয় ব্যথানাশক ট্যাবলেট নেশার সামগ্রী হিসেবে ব্যবহারের খবর কয়েক বছর ধরেই সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়ে আসছিল।

মতামত দিন
Loading...