মেট্রোনিডাজল (MNZ) মেট্রোনিডাজল একটি অ্যান্টিবায়োটিক এবং অ্যান্টিপ্রটোজোয়াল জাতীয় ঔষধ । এটি বাংলাদেশ এ ও টি সি ড্রাগ ।বাংলাদেশ সহ বিশ্বের সর্বত্র পাওয়া যায়। ডায়রিয়ার চিকিৎসায় বহুল ব্যবহৃত ওষুধ ।
ব্যবহার করা যেতে পারেঃ এ্যামিবিয়াসিস, ট্রাইকোমোনিয়াসিস,জিয়ারডিয়াসিস, ব্যাকটেরিয়াল ভেজাইনোসিস, তীব্র আলসারেটিভ জিনজিভাইটিস
এ্যানারোবিক সংক্রমন যেমন সেপটিসেমিয়া, ব্যাকটেরিমিয়া, পেরিটোনাইটিস, ব্রেইন এ্যাবস্সেস, নেক্রটাইজিং নিউমোনিয়া, অস্টিওমাইয়েলাইটিস, পিউরপেরাল সেপসিস, পেলভিক এ্যাবস্সেস, পেলভিক সেলুলাইটিস ইত্যাদি,
পায়ের আলসার এবং প্রেসার সোর, দাঁতের তীব্র সংক্রমন, সার্জিকাল প্রোফাইল্যাকসিস এবং লক্ষণযুক্ত তীব্র পেপটিক আলসার।
মাত্রা ও ব্যবহার বিধি : ৪০০ মি.গ্রা. দিনে ৩ বার অথবা ৫০০ মি.গ্রা. দিনে ৩ বার ব্যাবহার করা যেতে পারে । অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যাবহার করতে হবে ।
রোগের নাম | কত দিন | পূর্ণ বয়স্ক | ১২ বৎসরের নীচে | ৬ বৎসরের নীচে |
আমাশয়
(এ্যামিবিয়াসিসি |
৫ দিন | ৮০০ মি.গ্রাম
দিনে ৩ বার |
৪০০ মি.গ্রা.
দিনে ৩ বার |
১০০-২০০ মি.গ্রা.
দিনে ৪ বার |
আলসারেটিভ জিনজিভাইটিস সংক্রমণ | ৩ দিন | ২০০ মি.গ্রা.
দিনে ৩ বার |
– | – |
এনোরোবিক
সংক্রমণ |
৭ দিন | শুরুতে ৮০০ মি.গ্রা. ও
পরে ৪০০ মি.গ্রা. দিনে ৩ বার |
৭.৫ মি.গ্রা./কেজি
দিনে ৩ বার |
৭.৫ মি.গ্রা./কেজি
দিনে ৩ বার |
সার্জিক্যাল প্রোফাইলেকসিস | ৪০০ মি.গ্রা.
দিনে ৩ বার সার্জারি শুরুর ২৪ ঘন্টা পূর্বে |
৭.৫ মি.গ্রা./কেজি
দিনে ৩ বার |
৭.৫ মি.গ্রা./কেজি
দিনে ৩ বার |
সতর্কতা ও যেসব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না : অতিসংবেদনশীলতা, গর্ভকালীন সময়ে গ্রহণ করা উচিত নয় অথবা অন্য কোন বিকল্প না থাকলে তবেই গ্রহণ করা উচিত। মেট্রোনিডাজল গ্রহণকালীন অথবা গ্রহণের দু’দিন পর্যন্ত বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানো উচিত নয়।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া : বমি বমি ভাব, ধাতব স্বাদ (ঔষুধ খাবার কারণে খাবারের স্বাভাবিক স্বাদ বদলে যেতে পারে এটাকে মেটালিক টেষ্ট বলা হয় ) , জিব্বহার উপরে আবরণ, ঘুম ঘুম ভাব এবং মুত্রনালীতে অস্বস্তি, পাকস্থলী ও আন্ত্রিক অস্বস্তি, ক্ষুধামন্দ অনুভব হতে পারে।
অন্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া : এলকোহল, ডাইকোমারল, ওয়ারফারিন, ফেনিটয়েন, ফেনোবারবিটোন, ফুরোইউরাসিল, ডাইসালফিরাম, লিথিয়াম ও সিমেটিডিনের সঙ্গে গ্রহণ করা উচিত নয়।