ট্যাবলেট বা ক্যাপসুলের প্রত্যেক স্ট্রিপ/ পাতায় ওষুধের দাম লেখার আবেদন জানিয়েছে ভোক্তারা। ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়ে তাঁদের সরব উপস্থিতি পাওয়া গেছে
সাধারন মানুষ ওষুধের দাম জানার সুযোগ পায় না বলেই ফার্মেসীর দোকানদার রা ওষুধের দাম বাড়িয়ে রাখার সুযোগ পাচ্ছে । সম্প্রতি ঝিনাইদহের একটি ঘটনা উল্লেখ করা যেতে পারে যা ইতিমধ্যে জাতীয় পত্রিকা গুলোতে ফলাও করে প্রচার করা হয়েছে ।
একজন দরিদ্র রিকশাচালক তার গর্ভবতী স্ত্রীর জন্য ওষুধ কিনতে গিয়েছিলেন ফার্মেসিতে। ওষুধের দোকানদার তার কাছ থেকে ‘সোলাস’ নামের বিদেশি একটি ওষুধের দাম চায় ৬০০ টাকা। অথচ সোলাস ওষুধের দাম মাত্র ১৫ টাকা।
দরিদ্র ওই রিকশাচালকের নাম সিরাজ উদ্দিন। ফার্মেসিতে চড়া মূল্যে ওষুধ কেনার বিষয়ে সিরাজ উদ্দিন বলেন, ‘আমার সিজারিয়ান স্ত্রীর জন্য রিকশা বিক্রি করে ওষুধ কিনতে ফার্মেসিতে যাই। কিন্তু কত কি দাম ওষুধের তা তো সঠিক জানি না। তারা যে টাকা বলেছেন সেটাই দিয়েছি। বুঝতে পারিনি ১৫ টাকার ওষুধের দাম ৬০০ টাকা রাখবে তারা!’
অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই বিষয়ে বিস্তারিত লিখালিখি করেছেন । তারা উল্ল্যখ করেছেন যেন ওষুধের প্রত্যেক পাতায় ( স্ট্রিপ) এ অন্যান্য তত্থ্যের সাথে লেখা হয় , শুধু বাক্সের গায়ে লিখলে অনেক ক্ষেত্রে অসুবিধা হয় দাম জানতে । কিছু ক্ষেত্রে দোকানিরা তা জানাতেও চান না । এই অবস্থা থেকে মুক্তি চায় ভোক্তা রা ।