জন স্টিথ পেম্বারটন হলেন একজন আমেরিকান, যিনি একাধারে কেমিস্ট, ফার্মাসিস্ট এবং ঔষধ প্রস্তুতকারক। তিনি কোকা-কোলা পানীয়ের আবিষ্কারের জন্য বিশ্বজুড়ে পরিচিত।
পেমবার্টনের জন্ম ৮ জুলাই, ১৮৩১ সালে, জর্জিয়ার নক্সভিল শহরে, এবং শৈশবের বেশিরভাগ সময় তিনি জর্জিয়ার রোমে কাটিয়েছিলেন। তাঁর বাবা হলেন জেমস সি পেমবার্টন এবং মা মার্থা এল গ্যান্ট
পেম্বারটন ইংরেজ বংশের ছিলেন , ল্যাঙ্কাশায়ারের অধিবাসী তার প্রত্যক্ষ পিতৃপুরুষ ফিনিয়াস পেম্বারটন এবং তাঁর পরিবার ১৬৮২ সালের দিকে লিভারপুল থেকে মেরিল্যান্ড যান এবং অবশেষে পেনসিলভেনিয়ার বাক্স কাউন্টিতে বসতি স্থাপন করেছিলেন। সেখানে ফিনিয়াস ১৬৮৭ সালে একটি বাড়ি নির্মাণ করেছিলেন এবং উইলিয়াম পেনের প্রধান প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
স্টিথ পেমবার্টন জর্জিয়ার ম্যাকনের রিফর্ম মেডিকেল কলেজ অব জর্জিয়ায় তার মেডিকেল পড়াশোনা শুরু করেন এবং ১৮৫০ সালে উনিশ বছর বয়সে তিনি তার মেডিকেল ডিগ্রি অর্জন করেন । তাঁর রসায়নে ব্যাপক দক্ষতা ছিল। প্রাথমিকভাবে কিছু ওষুধ ও অস্ত্রোপচারের অনুশীলন করার পরে, ড . পেম্বারটন কলম্বাসে একটি ড্রাগ স্টোর চালু করেন।
আমেরিকান গৃহযুদ্ধের সময়, পেমবার্টন জর্জিয়ার স্টেট গার্ডের থার্ড ক্যাভালারি ব্যাটালিয়নে দায়িত্ব পালন করেছিলেন, যা সে সময় কনফেডারেট আর্মির একটি অংশ ছিল। তিনি সেনাবাহিনীতে লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদমর্যাদা অর্জন করেছিলেন।
১৮৬৫ সালের এপ্রিল মাসে, জন পেম্বারটন কলম্বাসের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করার সময় বুকে তরবারির আঘাত পান। এই ক্ষতের ব্যাথা থেকে নিজেকে বাঁচতে গিয়ে নিজে নিজেই চিকিৎসা শুরু করেন এবং নিয়মিত মরফিন ব্যবহার করতে শুরু করেন । পরে মরফিনে আসক্ত হয়ে পড়েন তিনি ।
আগস্ট ১৬, ১৮৮৮ জন পেম্বারটন পাকস্থলির ক্যান্সারে মারা গিয়েছিলেন। তখন তার বয়স ছিল ৫৭ বছর। এছাড়া তিনি তখন দারিদ্র্যতায় ভুগছিলেন এবং মরফিনে আসক্ত ছিলেন। মৃত্যুর পর তার দেহ কলম্বাস, জর্জিয়াতে ফেরত আনা হয়। সেখানে লিনউড সমাধিস্থলে তাকে দাফন করা হয়।