ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ন্যশনাল কন্ট্রোল ল্যাবরেটরি (এনসিএল) দেশে ওষুধের গুণগত মান নিশ্চিত করার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লুএইচও) নির্দেশিকা যথাযথভাবে অনুসরণ করার জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করেছে।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জিপিপিকিউসিএল (গুড প্রাকটিস ফর ফার্মাসিউটিক্যাল কোয়ালিটি কন্ট্রোল ল্যাবরেটরিস) এর মাধ্যমে পরীক্ষাগারগুলির গুণগতমান নিশ্চিত করা হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মোট ৫৫ টি পরীক্ষাগার এই তালিকায় রয়েছে। এই তালিকায় সম্প্রতি যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশের এনসিএল।
দেশে মানসম্পন্ন ওষুধের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বাজারে আস্থা অর্জনে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে ।
এনসিএল ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের (ডিজিডিএ) অধীনে কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে । ২০১৬ সালে, ওষুধের মান উন্নয়নে আগ্রহীদেশ গুলোকে নিয়ে গঠিত সিআইপি-র অংশীদারদের নিয়ে একটি জোট গঠন করা হয়েছিল যেখানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সরাসরি প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়েছে।
সিআইপি-র অধীনে অংশীদার দেশগুলো বাংলাদেশে পরীক্ষাগারের মান উন্নত করতে এবং কঠোর মান নিয়ন্ত্রণের নীতিমালা তৈরি করতে ডিজিডিএকে সরাসরি সহায়তা করেছে। অংশীদাররা হলেন – ইউনাইটেড স্টেট কনভেনশন প্রোমোটিং কোয়ালিটি অফ মেডিসিনস প্রোগ্রাম (ইউএসপি-পিকিউএম), ইউএসএআইডি, বিশ্বব্যাংক, ইউকে-এইড এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
দেশে উৎপাদিত ওষুধের মান বজায় রেখে জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। বর্তমানে এটি আরও কঠিন কাজ। আন্তঃসীমান্ত যোগাযোগ , বিশ্ব বাণিজ্য অর্থনীতি র বিষয়গুলোর কারনে করোনাভাইরাস (COVID-19) এর মত মহামারী সহ বিভিন্ন রোগ সহজেই এক দেশ থেকে অন্য দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিশ্ব-মানের ওষুধ উৎপাদনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে। এ ছাড়াও ওষুধের মান উন্নয়নে এবং তদনুসারে এর উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ সরকারকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানে সংস্থাটি অঙ্গীকারাবদ্ধ ।সেই সাথে সার্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ে একটি ফ্রেমওয়ার্ক গঠনেও কাজ করছে সংস্থাটি।