প্রতি বছর ২৫ সেপ্টেম্বর সারা বিশ্বের ফার্মাসিস্টদের জন্য একটি বিশেষ দিন বিবেচনা করা হয়। কেননা ২৫ সেপ্টেম্বর বিশ্বজুড়ে ” বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস” হিসেবে পালিত হয়ে থাকে। ফার্মাসিস্টরা দেশে বিদেশে মানসম্মত ওষুধ তৈরির সহ গবেষনা, বিপনন ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে স্বাস্থসেবায় গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকে পালন করে যাচ্ছেন৷ ফার্মেসি পেশার কর্মরতদের উৎসাহ প্রদান, সমাজে ফার্মাসিস্টদের গুরুত্ব ও অবস্থান তুলে ধরা ও তাঁদের সম্পর্কে সঠিক ধারণা সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়া ই হলো এ দিবসের মূল উদ্দেশ্য।
২০২০ এ দশম বারের মতো দিবসটি পালিত হচ্ছে। প্রতিবছর এ দিবসের নতুন নতুন একটি প্রতিপাদ্য বিষয় থাকে। করোনা মহামারীর প্রেক্ষিতে এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারন করা হয়েছে
” Transforming Global Health “
এটি একটি সময়োচিত প্রতিপাদ্য বিষয় কারণ আমরা সকলেই কোভিড ১৯ মহামারীর মত বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। এই মুহুর্তে সারা বিশ্বের ফার্মাসিস্টরা করোনাভাইরাস / কোভিড -১৯ এর বিস্তার বন্ধ করতে এবং নিরবচ্ছিন্নভাবে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করছে। ফার্মাসিস্টরা স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের পরামর্শ দেয়া, রোগ প্রতিরোধের জন্য টিকা দেয়া এবং ওষুধের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা , রোগ নির্মূল ও নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে জীবন মান উন্নত করার মত কাজ গুলো করে যাচ্ছে। ওষুধ গবেষক ও বিজ্ঞানীরা কীভাবে নিরাপদ এবং কার্যকর ওষুধ এবং ভ্যাকসিন তৈরী করার মাধ্যমে মানুষের জীবনকে কিভাবে রূপান্তরিত করছে সেই গুলিকেই এবারের প্রতিপাদ্যে তুলে ধরা হয়েছে।
১৯১২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর নেদারল্যান্ডের হেগ শহরে আন্তর্জাতিক ফার্মাসিউটিক্যাল ফেডারেশনের (এফআইপি) প্রথম কার্যনির্বাহী সভা অনুষ্ঠিত হয় তাই আন্তর্জাতিক ফার্মাসিউটিক্যাল ফেডারেশনের উদ্যোগে ২০০৯ সালে অনুষ্ঠিত ইস্তাম্বুল সম্মেলনে ২৫ সেপ্টেম্বরকে বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এর পরবর্তী বছর অর্থাৎ ২০১০ সাল থেকে সারাবিশ্বে এই দিবস পালিত হয়ে আসছে।এফআইপি-র সদস্য সংগঠনগুলো সহ সারা বিশ্বজুড়ে ফার্মাসিস্টরা উদযাপন করে থাকে৷
বাংলাদেশে ২০১৪ সালে একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগ প্রথমবারের মত এই দিবসটি পালন করে । এর পর থেকে প্রতিবছর প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগ, বিভিন্ন ফার্মাসিউটিক্যালস, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর ও বিভিন্ন ফার্মেসী পেশাজীবী সংগঠনের উদ্যোগে ঢাকাসহ বড় বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলোতে উৎসাহের সঙ্গে র্যালি ও স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি, সেমিনার ও বিভিন্ন জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পালনের মাধ্যমে দিবসটি নিয়মিত পালন হয়ে আসছে।