বাংলাদেশের ঔষধ ভারতীয় ঔষধ কোম্পানীগুলোর জন্য এক মাথাব্যাথার কারন হয়ে দাড়িয়েছে! ঘটনার শুরু কোভিডের কারনে, গত মে- জুন মাসে। Gilead সবেমাত্র রেমডিসিভিরকে কোভিডের চিকিৎসায় প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে।
ভারতে তাদের তিন পার্টনার Cipla, Hetero এবং Jubilant life science এই ঔষধটি ১২৭ টি দেশে রপ্তানী করার পারমিশন নিয়ে রেখেছে কিন্ত তখনও এটি ভারতের ঔষধ মন্ত্রনালয়ের অনুমতি পায়নি। সেই সময়ে মহারাষ্ট্রে প্রচুর করোনা রোগী থাকায় মহারাষ্ট্র সরকার বাংলাদেশের এসকেএফের কাছ থেকে প্রতি ভায়াল ১২,০০০ রুপিতে ১০,০০০ ডোজের অর্ডার করে। তখনই সেখানকার ফার্মা ইন্ড্রাস্ট্রি নড়েচড়ে বসে।
Gilead মন্তব্য করে যে তারা বাংলাদেশের কোন কোম্পানীকে তাদের পেটেন্ট করা ড্রাগ তৈরীর অনুমতি দেয়নি এবং সেকারনে এর কার্যকারিতা নিয়েও সূক্ষ সন্দেহ প্রকাশ করে। কিন্ত LDC ভুক্ত দেশ হওয়ায় বাংলাদেশ ২০৩৩ সাল পর্যন্ত যে কোন পেটেন্টেড ঔষধ সেই কোম্পানীর কোন অনুমতি ছাড়াই তৈরী এবং রপ্তানী করতে পারবে। Gilead এর ঔষধটি সাড়ে তিন লাখ টাকার বেশি খরচ পড়লেও বাংলাদেশে তৈরী রেমডিসিভির দশ ভাগের এক ভাগ খরচেই করোনা রোগীর চিকিৎসা করতে সম্ভব!
এই ঘটনা ভারতীয় ফার্মা ব্যবসায়ীদের গ্লোবাল মার্কেটে তাদের সম্ভাব্য কম্পিটিটরকে চিনতে সাহায্য করেছে। সেখানকার একজন বিশেষজ্ঞের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বাংলাদেশ জেনেরিক ড্রাগ তৈরীতে “পাওয়ার হাউস” হওয়ার সক্ষমতা ইতেমধ্যে অর্জন করেছে কারন অনেক ভারতীয় কনসালটেন্ট তাদেরকে এবিষয়ে সহায়তা করেছে। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।
লেখক: ইন-চার্জ , ট্রেনিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট , সানোফি ।