করোনা ভাইরাসের অ্যালোপেথিক এবং ভেষজ চিকিৎসা

মোঃ আব্দুল মুহিত

0

করোনা ভাইরাসের নির্দিষ্ট কোন ওষুধ এখনো আবিষ্কার হয়নি। বিজ্ঞানীরা নিরন্তর চেষ্টা করে চলেছে এই ভাইরাসের কার্যকর চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কারের জন্য। ইতিমধ্যে আমরা জানতে পেরেছি করোনা ভাইরাসের পাঁচটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রোটিন রয়েছে যারা রেপ্লিকেশন, ট্রান্সলেশন এবং প্যাথোজেনেসিস তৈরিতে ভূমিকা রয়েছে। প্রোটিনগুলি নিম্নরূপ।
ক) স্পাইক (S) গ্লাইকোপ্রোটিন
খ) nsp3 প্রোটিন অর্থাৎ Papain-like (SARS-PLpro)
গ) nsp5 প্রোটিন অর্থাৎ Chymotrypsin-like folds (SARS-3CLpro)
ঘ) nsp12 প্রোটিন অর্থাৎ RNA-dependent-RNA Polymerase (RdRp)
ঙ) nsp13 প্রোটিন অর্থাৎ Helicase
এসব প্রোটিনগুলোকে টার্গেট করে অনেক ওষুধ নিয়ে গবেষণা চলছে। তবে এদের মধ্যে অনেকগুলি গবেষণা শুধুমাত্র কম্পিউটারে মডেলিং করে দেখানো হয়েছে। আবার অনেকগুলি আগে থেকে প্রতিষ্ঠিত অন্যান্য ভাইরাসে ব্যবহৃত ওষুধগুলিকে এই ভাইরাসে ব্যবহারের চেষ্টা করা হচ্ছে। অন্যদিকে নানান ভেষজ ওষধি উদ্ভিদের ব্যবহার নিয়ে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পর্যন্ত চলছে। এগুলোকে সংক্ষেপে বর্ণনা করছি।

১) ভিটামিনঃ সব ধরনের ভিটামিন আমাদের ইমিউনিটি সিস্টেমকে শক্তিশালী করে থাকে। সুতরাং সব ধরনের ভিটামিন বেশি বেশি করে গ্রহণ করতে হবে। বিশেষ করে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি। ভিটামিন এ কে বলা হয় অ্যান্টি-ইনফেক্টিভ অর্থাৎ জীবাণুনাশক ভিটামিন। ম্যালেরিয়া, এইচআইভি এইডস এবং শ্বাসতন্ত্রের জীবাণু আক্রমণ থেকে এই ভিটামিন সুরক্ষা দেয়। ভিটামিন বি কমপ্লেক্স এর অভাবে দুর্বল ইমিউনিটি প্রকাশ পায়। ভিটামিন সি কোলাজেন তৈরিতে সহায়তা করে, এছাড়া অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এই ভিটামিন অল্প পরিমানে অ্যান্টিহিস্টামিনের মতো কাজ করে অর্থাৎ অ্যালার্জি থেকে সুরক্ষা দেয়। ফলে ফ্লু লক্ষণগুলির বিপরীতে ভালো কার্যকর। নিম্ন শ্বাসতন্ত্রের রোগ অর্থাৎ নিউমোনিয়ার চিকিৎসায় ভিটামিন সি ব্যবহৃত হয়। ইমিউন কোষগুলির পরিপূর্ণতা প্রদান করে ভিটামিন ডি। গতবছর শীতে চীনের উহানে এই ভাইরাসের আক্রমণের সময় বেশির ভাগ বয়স্কদের অবস্থা সঙ্গিন হয়ে যায়। কারণ হিসেবে বলা হয় ভিটামিন ডি এর অভাবে তাদের ইমিউনিটি কম শক্তিশালী ছিল। ভিটামিন ই এক প্রকারের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই সবরকমের ভিটামিন জাতিয় খাদ্য এই সময় অত্যন্ত কার্যকর।

২) খনিজ পদার্থঃ তিন ধরনের খনিজ পদার্থ যেমন জিংক, সেলেনিয়াম এবং আয়রন এই তিনটি খনিজ পদার্থ বেশি পরিমানে গ্রহণ করতে হবে। সেলেনিয়ামের অনুপস্থিতিতে পোষকদেহে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস তৈরি হয়। ফলে ভাইরাসে সহজে আক্রান্ত করতে পারে। তাই সেলেনিয়াম যুক্ত খাবার খেতে হবে। সেলেনিয়াম এবং ভিটামিন ই একত্রে শরীরের কিছু এনজাইম তৈরি করে যারা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। সেলেনিয়াম এবং জিনসেং পাউডার একত্রে ইমিউনিটি বাড়াতে দারুন কার্যকর। ডিম, মুরগি, দুধ, দই, বিভিন্ন শস্যদানাতে সেলেনিয়াম প্রচুর পরিমানে পাওয়া যায়। আমাদের শরীরের ইমিউন কোষগুলোকে সতেজ এবং সজীব রাখতে জিংক অপরিহার্য। হিউমোরাল এবং সেল-মেডিয়েটেড দুই ধরনের ইমিউনিটিই জিংকের অভাবে অকার্যকর হয়ে পড়তে পারে। জিংক এবং পাইরিথায়ন একত্রে SARS-CoV ভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকর। বিভিন্ন ধরনের শস্যদানা যেমন শিম, ডাল, বাদাম ইত্যাদি, মুরগি, লাল মাংসে জিংকের পরিমান বেশি থাকে। আয়রন আমাদের শরীরে রক্ত তৈরিতে সহায়তা করে। তাই আয়রন খেতেই হবে। কচু শাক, পালং শাক, কচু, আপেল, বাদাম, শস্যদানাতে আয়রন প্রচুর রয়েছে।

৩) অ্যালোপেথিক ওষুধঃ যেহেতু এখনো COVID-19 রোগের জন্য কোন ওষুধ আবিষ্কার করা যায়নি, প্রাথমিকভাবে ভেন্টিলেটর দিয়ে অক্সিজেন থেরাপিই হচ্ছে মূল চিকিৎসা। এছাড়া এর সাথে কিছু অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া হয় যাতে করে সেকেন্ডারি ইনফেকশনকে নিয়ন্ত্রন করা যায়। এখানে অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে এজিথ্রোমাইসিন, ফ্লুরোকুইনোলন এবং পেনিসিলিন জাতীয় ওষুধ দেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। তবে নানান ধরনের ভ্যাকসিন, অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ, ইমিউন বুস্টার কিংবা সুস্থ হওয়া রোগীর রক্তের প্লাজমাও ওষুধ হিসেবে নানান ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মার্চ মাসের ২২ তারিখে বলেছে তারা চারটি ওষুধের ট্রায়ালের উপর খুব ভরসা করে আছে। যেমন অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ Remdesivir, ম্যালেরিয়ার ওষুধ Chloroquine and Hydroxychloroquine, এইডস অর্থাৎ HIV এর বিরুদ্ধে ব্যবহৃত দুটি ওষুধের যৌথ ব্যবহার যেমন Lopinavir এবং Ritonavir; এবং একই ওষুধ দুটির সাথে Interferon-beta। এছাড়া নিম্নে কিছু ওষুধের বিষয়ে বিভিন্ন গবেষণায় পজিটিভ দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে।

ক) ইন্টারফেরনঃ টাইপ-১ ইন্টারফেরন (আলফা, বিটা বা ডেল্টা) ভাইরাসের বিরুদ্ধে ইমিউনিটি কোষগুলোকে সক্রিয় করে দেয়। এই ভাইরাসটির বেশকিছু প্রোটিন এই ইন্টারফেরনের সাথে যুক্ত হয়ে এদেরকে সক্রিয় হতে দেয় না। ফলে ইন্টারফেরনের ঘাটতি থেকে যায় শরীরে। তাই বাইরে থেকে ইন্টারফেরন আলফা দেয়া হলে রোগীর ইমিউনিটি বৃদ্ধি পাবে।
খ) Thymosin α‐1 প্রোটিন এবং Intravenous gammaglobulin প্রোটিনঃ Thymosin α‐1 একটি থাইমাস গ্লান্ড থেকে নিঃসৃত হরমোনাল প্রোটিন যা ইমিউনিটিকে শক্তিশালী করে। এছাড়া মিথাইল প্রেডনিসোলন যা এই রোগীকে চিকিৎসার সময় দেয়া হয়, যার ফলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। এই প্রোটিনটি মিথাইল প্রেডনিসোলনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমিয়ে দিতে পারে। এছাড়া অনেক সময় Intravenous gammaglobulin দেয়া যেতে পারে।
গ) Thymopentin প্রোটিনঃ এটি একটি পেন্টা পেপটাইড, যা ইমিউনিটি কোষ তৈরিতে সহায়তা করে।
ঘ) Levamisole নামের একটি ওষুধ ইমিউনিটি বুস্টার হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। বাচ্চাদের অনেক সময় দেয়া হয় এর সিরাপ। অস্ট্রেলিয়ার গবেষকরা দেখিয়েছেন Ivermectin নামক উকুন নাশক একটি ওষুধ প্রাথমিকভাবে ৪৮ ঘন্টায় এই ভাইরাসকে মারতে সক্ষম। তবে মানবদেহে এখন এর পরীক্ষা হয়নি।
ঙ) Human monoclonal antibody (mAb) এবং Chloroquine: মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি (scFvs 80R) ভাইরাসটির স্পাইক (S) গ্লাইকোপ্রোটিনের (S1) সাবইউনিটে যুক্ত হয়ে আমাদের শরীরে Angiotensin-converting enzyme 2 (ACE2) এনজাইমের সাথে বন্ধনে বাধা প্রদান করতে পারে। Chloroquine এবং Hydroxychloroquine হলো ম্যালেরিয়া জ্বরের ওষুধ যা একই প্রক্রিয়াতে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে। তবে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে এর কার্যকারিতা এখনো প্রমাণিত নয়।
চ) অ্যান্টিভাইরাল ওষুধঃ Ribavirin, Atazanavir, Lopinavir/ritonavir, Remdesivir, Nelfinavir ইত্যাদি ওষুধগুলি বর্তমানে বিভিন্ন দেশে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে। এরা সবাই মূলত এইডসের ওষুধ। জাপানে আবিষ্কৃত Favipiravir ওষুধটি ইনফ্লুয়েঞ্জাতে ব্যবহার করার জন্য। কিন্তু এই ওষুধটিও নতুন ভাইরাসের বিরুদ্ধে ভাল কাজ করছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশেও দুই একটি কোম্পানি এই ওষুধটি তৈরি করছে এই রোগীদের জন্য। শেনঝেন এবং উহানের দুই জায়গায় এই ওষুধের বিষয়ে কার্যকারিতা দেখা গিয়েছে। nsp12 প্রোটিন অর্থাৎ RNA-dependent-RNA Polymerase (RdRp) এই প্রোটিনটির কাজ এই ওষুধটি বন্ধ করে দিতে পারে।

৪) ভেষজ উদ্ভিদের ব্যবহারঃ এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে চীনে এখন পর্যন্ত ৪০০ বেশির ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে চায়নিজ ট্র্যাডিশনাল মেডিসিন নিয়ে। চায়নাতে ট্র্যাডিশনাল মেডিসিনের বিশাল চাহিদা রয়েছে। আমাদের দেশেও অনেক মানুষ ভেষজ উদ্ভিদের উপর নির্ভরশীল।

ক) যষ্টি মধুর শিকড়, কালোমেঘ, সবুজ চাঃ বিশ্বখ্যাত জার্নাল ল্যানসেটে ২০০৩ সালে প্রকাশিত হয়েছে যষ্টি মধুর শিকড় SARS-CoV ভাইরাসের বিরুদ্ধে অত্যন্ত কার্যকর। এখান থেকে প্রাপ্ত গ্লিসারিজিন নামক যৌগটি এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখে। যেহেতু বর্তমানের ভাইরাসটির সাথে ঐ ভাইরাসের বেশ মিল রয়েছে, তাই চাইনিজ গবেষকরা এই ভেষজ উদ্ভিদটি ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়েছে। কম্পিউটার মডেলিং করে দেখা গেছে কালোমেঘ বা Andrographis paniculata থেকে প্রাপ্ত Andrographolide সিরিজের বিভিন্ন যৌগ ভালোভাবে nsp5 প্রোটিন অর্থাৎ Chymotrypsin-like folds (SARS-3CLpro) প্রোটিনের কাজে বাধা প্রদান করতে পারে।এছাড়া সবুজ চা থেকে প্রাপ্ত ক্যাটেচিন যেমন epigallocatechin gallate এবং gallocatechin gallate অত্যন্ত উপকারি। চায়ের মধ্যে রয়েছে Theaflavin-3,3′-digallate (TF3) নামক এক প্রকার যৌগ মারাত্মক কার্যকারিতা প্রদর্শন করেছে। তাই এই সময় সবুজ চা গ্রহণ করতে হবে।

খ) nsp5 প্রোটিন অর্থাৎ Chymotrypsin-like folds (SARS-3CLpro) ইনহিবিটরঃ গবেষণাগারে দেখা গেছে চাইনিজ রুবার্ব নামক একটি গুল্মের রাইজোম এই প্রোটিনকে কার্যকরভাবে নষ্ট করে দিতে পারে। এছাড়া গবেষণাগারে টেস্টটিউবে এই প্রোটিনের সাথে Houttuynia cordata (বাংলা নাম ঐষ্ট গাছ) এবং লিচু ফলের বিচির রস মিশ্রন করে দেখা গেছে প্রোটিনটিকে নষ্ট করে দিতে পারে। ভেষজ উদ্ভিদ থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন ধরনের ফ্লাভোনয়েড ও অন্যান্য যৌগ যেমন sinigrin (IC50: 217μM), indigo (IC50: 752μM), aloe-emodin (IC50: 366 μM), hesperetin (IC50:8.3 μM) , quercetin, Nicotianamine সহ বেশকিছু যৌগ উপকারি প্রমানিত হয়েছে। যেমন Radix Scutellaria থেকে প্রাপ্ত Baicalin যা অত্যন্ত কার্যকরভাবে এই প্রোটিনের কাজ বন্ধ করে দিতে পারে। এছাড়া যেসব উদ্ভিদে Herbacetin, rhoifolin, isobavaschalcone, quercetin 3‐β‐D‐glucoside, helichrysetin and pectolinarin পাওয়া গেছে, তারাও অত্যন্ত কার্যকর। এছাড়া quercetin নামক একটি ফ্লাভোনয়েড এই ভাইরাসকে কোষে ঢুকতে বাধা প্রদান করে। Galla chinensis উদ্ভিদ থেকে প্রাপ্ত Tetra-O-galloyl-β-D-glucose এবং Veronicalina riifolia উদ্ভিদ থেকে প্রাপ্ত luteolin নামক ফ্লাভোনয়েড অনেক কার্যকর। এছাড়া আদা, রসুন এবং হলুদের মধ্যে নানান প্রকারের পলিফেনল রয়েছে যারা এই প্রোটিনের সাথে প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করে।

গ) nsp3 প্রোটিন অর্থাৎ Papain-like Proteinase (SARS-PLpro) ইনহিবিটরঃ
এই প্রোটিনকে টার্গেট করে ওষুধ আবিষ্কার করার দুটি প্রধান সমস্যা হলোঃ ১) এর প্রধান বাইন্ডিং সাইটে গ্লাইসিন অ্যামাইনো এসিড সাইজের খুব ছোট যৌগ প্রয়োজন যা খুঁজে পাওয়া দুষ্কর; ২) পোষকদেহে একটি প্রোটিনসমষ্টির নাম Ubiquitin Specific Proteases (USP’s) যা আমাদের ইমিউনিটিসহ নানান কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ভাইরাসের এই প্রোটিনটির গঠন দেখতে উক্ত প্রোটিনের সাথে একই রকমের ফলে নানাবিধ শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর পরেও কিছু ভেষজ ওষুধ কার্যকর হতে পারে। Isatis indigotica উদ্ভিদের শিকড়ের রস প্রোটিনটিকে নষ্ট করে দিতে পারে। Alnus japonica উদ্ভিদের কান্ড থেকে প্রাপ্ত ডাইএরাইলহেপ্টানয়েড জাতীয় যৌগও এই প্রোটিনটিকে নষ্ট করে দিতে পারে। কম্পিউটার মডেলিং করে দেখা গেছে Platycodon grandiflorus ফুলগাছ, থেকে প্রাপ্ত Platycodin D যৌগটি এই প্রোটিনের কাজ সীমিত করে দিতে পারে এবং যার অ্যান্টিক্যান্সার বৈশিষ্ট্য ইতিমধ্যে প্রমাণিত।

ঘ) nsp12 প্রোটিন অর্থাৎ RNA-dependent-RNA Polymerase (RdRp) এবং nsp13 প্রোটিন অর্থাৎ Helicase ইনহিবিটরঃ
Houttuynia cordata বাংলা নাম ঐষ্ট গাছের পানীয় রস এই প্রোটিনটির কার্যকারিতা নষ্ট করে দিতে পারে। এছাড়া Sinomenium acutum (IC50:198.6 μg/mL), Coriolus versicolor
(IC50:108.4 μg/mL) এবং Ganoderma lucidum (মাশরুম) (IC50:41.9) পাউডারও অনেক কার্যকরভাবে এই প্রোটিনের কাজ বন্ধ করে দিতে পারে।

ঙ)অন্যান্য ভেষজ ওষুধঃ জিনসেং, সর্পগন্ধা এবং ইউক্যালিপটাস উদ্ভিদ তিনটিরও ভাইরাসের রেপ্লিকেশন চক্র ভেঙ্গে ফেলতে সহায়ক হিসেবে প্রমাণ পাওয়া গেছে। Galla chinensis উদ্ভিদ থেকে প্রাপ্ত Tetra-O-galloyl-β-D-glucose এবং Veronicalina riifolia উদ্ভিদ থেকে প্রাপ্ত luteolin নামক ফ্লাভোনয়েড স্পাইক গ্লাইকোপ্রোটিনের সাথে পোষকদেহের সংযুক্ত হওয়া বাধা দিতে পারে। Rheum এবং Polygonum প্রজাতির উদ্ভিদ থেকে প্রাপ্ত Emodin যৌগটিও ভাইরাসটির সংযুক্ত হওয়া বাধা দিতে পারে। kaempferol নামক একটি ফ্লাভোনয়েড ভাইরাসটির অ্যাসেম্বলিকরণ হতে বাধা দেয়।

লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, ফার্মেসি অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় 

আরও পড়ুন করোনা ভাইরাল রেপ্লিকেশন পদ্ধতি  
মতামত দিন
Loading...