রেনাটা লিমিটেড

0
রেনাটা লিমিটেড,বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয়, দ্রুত বর্ধনশীল ফার্মাসিউটিক্যাল এবং পশু স্বাস্থ্য পণ্য উৎপাদক প্রতিষ্ঠান যা বাংলাদেশের সেরা ১০ টি ঔষধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের একটি।

রেনাটা লিমিটেডের পূর্ববর্তী নাম ছিল ফাইজার (বাংলাদেশ) লিমিটেড। ফাইজার ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে এর কার্যক্রম শুরু করে।পরবর্তীতে ১৯৯৩ সালে ফাইজার তাদের বাংলাদেশে সকল কার্যক্রমের মালিকানা স্থানীয় শেয়ারহোল্ডারদের কাছে হস্তান্তর করে এবং নাম পরিবর্তন করে রেনেটা লিমিটেড রাখা হয়।

রেনেটার বর্তমান প্রধান নির্বাহী হলেন সৈয়দ এস কায়সার কবির এবং এর সদরদপ্তর ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত।

রেনাটা লিমিটেড
রেনাটা লিমিটেডের লোগো

রেনেটা লিমিটেডের মূল ব্যবসা হল মানব ওষুধ এবং পশু স্বাস্থ্য পণ্য বিক্রয় করা। বর্তমানে রেনেটা লিমিটেড বাংলাদেশের ৪র্থ বৃহত্তম ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি এবং পশু স্বাস্থ্য পণ্যের বাজারের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কোম্পানিটির ওষুধ রফতানি হচ্ছে। রেনেটা তাদের পণ্য আফগানিস্তান, বেলজিয়াম, কম্বোডিয়া, ইথিওপিয়া, গায়ানা, হন্ডুরাস, হংকং, কেনিয়া, মালয়েশিয়া, মায়ানমার, নেপাল, ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, যুক্তরাজ্য এবং ভিয়েতনামসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করে থাকে। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ২৫০ কোটি টাকা। বর্তমানে পরিশোধিত মূলধন ১০৭ কোটি ১৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ২ হাজার ৪৫৮ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ১০ কোটি ৭১ লাখ ৯২ হাজার ৯৮৩। এর মধ্যে ৫১ দশমিক ২৭ শতাংশ উদ্যোক্তা-পরিচালক, ১৯ দশমিক ৪৩ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, ২২ দশমিক ৮৮ শতাংশ বিদেশী বিনিয়োগকারী ও বাকি ৬ দশমিক ৪২ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ( ফেব্রুয়ারি/২২)

প্রতিষ্ঠানটির ১০টি উৎপাদন সুবিধা সম্বলিত মোট তিনটি উৎপাদন সাইট রয়েছে (ময়মনসিংহের ভালুকায় , গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর এবং ঢাকার মিরপুরে)।

বর্তমানে কোম্পানিটিতে ৮ হাজারের উপরে কর্মী রয়েছে। কোম্পানিটি হরমোন, গর্ভনিরোধক, ক্যান্সারের ওষুধ, বিভিন্ন ওরাল সলিউশন, অ্যান্টিবায়োটিকস, প্যারেন্টেরাল প্রিপারেশন ও অন্যান্য প্রচলিত ওষুধ সহ প্রায় ৩০০ টি জেনেরিক ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য উৎপাদন করে থাকে। এছাড়াও, তারা প্রায় ৯৫ টি পশু থেরাপিউটিকস এবং পুষ্টি পণ্য সরবরাহ করে থাকে।

সারা দেশে ১৯ টি ডিপো থেকে এই পণ্য বিতরণ করা হয়। কোম্পানিটি দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে তাদের পণ্য রপ্তানি করে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রেখে যাচ্ছে। এছাড়া প্রতিনিয়ত নতুন উদ্ভাবন ও বৈচিত্র্যের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাত ও ফার্মা ইন্ডাস্ট্রিতে অসামান্য অবদান রেখে চলেছে।

মতামত দিন
Loading...