বর্তমানে দেশে ২৭১ টি অ্যালোপ্যাথিক, ২০৫ টি আয়ুর্বেদিক, ২৭১ ইউনানী, ৩২ টি ভেষজ ও ৭৯ হোমিওপ্যাথিক ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা (সংখ্যা পরিবর্তিত হয়) রয়েছে। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর এই ৮৫৮ সংস্থার সমস্ত কার্যক্রম নিরীক্ষণ এবং নিয়ন্ত্রণ করে। মহাপরিচালক হিসাবে মনোনীত অধিদপ্তরের প্রধানকেও সরকার কর্তৃক ক্ষমতা দেওয়া হয়। ওষুধ ও ওষুধ উত্পাদন, সঞ্চয়, বিক্রয়, আমদানি ও রফতানির জন্য লাইসেন্স প্রদানের লক্ষ্যে ওষুধের লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ (এলএ) হিসাবে কাজ করা। বর্তমানে দেশে অধিদপ্তরের ৫৫ টি জেলা কার্যালয় রয়েছে।
অধিদপ্তরের সমস্ত কর্মকর্তা ওষুধ আইন অনুসারে “ড্রাগ ইন্সপেক্টর” হিসাবে কাজ করেন এবং লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষকে তার দায়িত্বগুলি যথাযথভাবে পালনের জন্য সহায়তা করেন। এ ছাড়া ওষুধ নিয়ন্ত্রণ কমিটি (ডিসিসি), কাঁচামাল ও সমাপ্ত ওষুধ সংগ্রহ ও আমদানির জন্য স্থায়ী কমিটি, মূল্য নির্ধারণ কমিটি এবং বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত অন্যান্য কয়েকটি প্রমিত কমিটি লাইসেন্স দেওয়ার পরামর্শ দেওয়ার জন্য রয়েছে। কর্তৃপক্ষ এবং ওষুধ ও ওষুধ সম্পর্কিত বিষয়গুলি তাকে সুপারিশ করার জন্য।
১৯৭১এর আগে কেন্দ্রীয় সরকার পাকিস্তান সরকারের অধীনে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রকের অধীনে একটি সংস্থা হিসেবে এটি পরিচালিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের পরে স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ মন্ত্রনালয়ের একটি সংযুক্ত বিভাগ এবং পরবর্তীতে ১৯৭৬ সাল থেকে সরাসরি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের অধীনে একটি পৃথক অধিদপ্তর হিসেবে পরিচালিত হয়েছে পরবর্তীতে আবারো ১ জানুয়ারী ২০১০ ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর কে আপগ্রেড করা হয় ।
ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর (ডিজিডিএ) প্রাসঙ্গিক আইন প্রয়োগের পরেও ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্যগুলির গুণমান, কার্যকারিতা এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করার দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা। সংগঠনটি দেশের ওষুধ খাতের প্রয়োজনীয়তা পূরণের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছে এবং এর মাধ্যমে ওষুধের সুরক্ষা, কার্যকারিতা এবং গুণগত মান নিশ্চিত করে দেশের মানুষের চাহিদা পূরণ করছে।