নয়নতারা

নয়নতারা , যার বৈজ্ঞানিক নাম  Catharanthus roseus । আমরা সাধারনত ফুলের সৌন্দর্যে মোহিত হয়েই কেবল নয়নতারা কে চিনি , কিন্তু অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ রাসায়ানিক উপাদানের আধার এই নয়নতারা । ৭০ টিরও বেশি উপক্ষার (alkaloids)পাওয়া যায় এ গাছ থেকে। ভিনক্রিস্টিন ও ভিনব্লাস্টিন নামের উপক্ষার দুটি লিউকেমিয়া রোগে বিশেষ ব্যবহার রয়েছে। ডেলটা-ইহোহিম্বিন নামের এক প্রকার রাসায়নিক পদার্থ পাওয়া যায়।

নয়নতারা ফুল

এটি মূলত উপক্ষারগুলির জন্যই চাষ করা হয়, যা অ্যাণ্টি ক্যান্সার হিসেবে কাজ করে ।নয়নতারায় সক্রিয় যৌগের দুটি শ্রেণি হ’ল ক্ষারক এবং ট্যানিন। নয়নতারায় ১০০ টিরও বেশি মনোটারপইনয়েডস ইন্ডোল অ্যালকালয়েডস (টিআইএ) পাওয়া যায়।এর পাতা এবং কান্ড হ’ল ডাইমারিক অ্যালকালয়েডস, ভিনাক্রিসটিন এবং ভিনব্লাস্টাইনের উৎস যা ক্যান্সারের অপরিহার্য ওষুধ হিসেবে বহুল ব্যাবহার করা হয় ,এর শিকড়গুলিতে অ্যান্টিহাইপারটেনসিভ উপাদান, এজমালইসিন এবং সারপেন্টিন পাওয়া যায়। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য পাতা, ভারত, ওয়েস্ট ইন্ডিজ পাশাপাশি নাইজেরিয়া সহ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে ঐতিহ্যগতভাবে ব্যবহৃত হয় ।  অন্যান্য ফার্মাকোলজিক্যালি সক্রিয় যৌগগুলির মধ্যে পাতাগুলিতে ১৫০ টি দরকারী অ্যালকালয়েড রয়েছে বলে জানা গেছে। ল্যাবরেটরিতে বিভিন্ন প্রাণীদের মধ্যে গবেষণায় উল্লেখযোগ্য অ্যান্টিহাইপারগ্লাইসেমিক এবং পাতার নির্যাসে হাইপোটেনসিটিভ উপাদান (হাইড্রো অ্যালকোহলিক বা ডিক্লোরোমেথেন-মিথানল)পাও্য়া যায়।নয়নতারার তাজা পাতার রস রক্তে  গ্লুকোজকে  কমাতে সাহায্য করে বলে জানা গেছে।

ভিনব্লাস্টিন

এছাড়াও ক্রিমি রোগে, মেধাবৃদ্ধিতে, লিউকোমিয়া, মধুমেহ, রক্ত প্রদরে, রক্তচাপ বৃদ্ধিতে, সন্ধিবাত, বহুমূত্র সহ নানা রোগে এর ব্যবহার রয়েছে। বোলতা প্রভৃতির হুলের জ্বালায়/কীট দংশনে দ্রুত উপশম পেতে নয়নতারা ফুল বা পাতার রস ব্যবহারের প্রচলন লক্ষ্য করা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *