কিটোটিফেন হচ্ছে দ্বিতীয় প্রজন্মের (সেকেন্ড জেনারেশন) এইচ ওয়ান (H1)- অ্যান্টিহিস্টামিন ও মাস্ট সেল স্ট্যাবিলাইজার ।এটি দুই ভাবে বাজারে বিদ্যমান; চোখের ড্রপ যা অ্যালার্জিক কনজাংটিভাইটিস এর চিকিৎসায় এবং ট্যাবলেট যা অ্যাজমা প্রতিরোধে ব্যবহৃত হয়।
হিস্টামিনের বিরুদ্ধে কাজ করা ছাড়াও এটি লিউকোট্রিন ও ফসফোডায়েস্টারেজ এনজাইমের বিরুদ্ধে কাজ করে। ইরিট্যাবল বাউয়েল সিনড্রোম-এর উপসর্গ প্রশমনেও এর কিছুটা ভূমিকা রয়েছে। কিটোটিফেন ফিউমারেট হিসেবে পাওয়া যায় ।
নির্দেশনা : ব্রংকিয়াল এ্যাজ্মার প্রতিরোধক চিকিৎসায় এবং এলার্জিক রাইনাইটিস ও কনজাংকটিভাইটিসের উপসর্গের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় ।
সতর্কতা ও যেসব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না : মুখে খাওয়ার এন্টিডায়াবেটিক এজেন্টের সাথে সেবনে রক্তে অনুচক্রিকার মাত্রা হ্রাস পেতে পারে। গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে গ্রহণ অনুমোদিত নয়। চোখের ড্রপের কিছু প্রস্তুতিতে বেনজালকোনিয়াম ক্লোরাইড থাকতে পারে, যার নমনীয় কন্ট্যাক্ট লেন্সে জমতে প্রবনতা আছে। তাই কন্ট্যাক্ট লেন্স ব্যবহারকারীদের এই ধরনের চোখের ড্রপ ব্যবহার উচিত নয়। যদি ব্যবহার করতে হয় তবে ব্যবহারের পূর্বে লেন্স খুলে ফেলতে হবে এবং ১৫ মিনিটের মধ্যে পুনরায় দেয়া যাবে না।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া : তন্দ্রাচ্ছনতা, মুখ শুষ্কতা, ওজন বৃদ্ধি, অস্থিরতা, নাক দিয়ে রক্ত পড়ার প্রবণতা এবং মৃদু মাথা ঝিম্ ঝিম্ ভাব দেখা দিতে পারে।
প্রতিনির্দেশনা : কিটোটিফেন অথবা এর যেকোন উপাদানের প্রতি অতিসংবেদনশীলতা রয়েছে তাদের
ক্ষেত্রে এই ওষুধটি প্রতি নির্দেশিত।
অন্যান্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া : চোখের ড্রপের ক্ষেত্রে যদি অন্য চোখের ওষুধের সাথে ব্যবহার করতে হয় তবে দুটি ওষুধ ব্যবহারে কমপক্ষে ৫ মিনিটের ব্যবধান অবশ্যই রাখতে হবে।
[su_box title=”সতর্কীকরণ” style=”bubbles” box_color=”#f4f1f1″ title_color=”#f00f0f”]ওয়েবসাইটে প্রাপ্ত তথ্য শুধু মাত্র মৌলিক ধারনা হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন কিন্তু কোনভাবেই তা আপনার প্রকৃত চিকিৎসা নয়। ওষুধ গ্রহনের পূর্বে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।[/su_box]