সেটিরিজিন হলো দ্বিতীয় প্রজন্মের অ্যান্টিহিস্টামিন ও H1 রিসেপ্টর অ্যান্টাগনিস্ট যা অ্যালার্জি, আর্টিকেরিয়া, হে ফিভার, অ্যাঞ্জিডিমা প্রভৃতির চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।এটি হাইড্রক্সিজিনের প্রধান মেটাবলাইট। এটি বাজারে সেটিরিজিন হাইড্রোক্লোরাইড ফর্মে পাওয়া যায়।
বায়োএভেলএবিলিটি ভালো ।
প্রোটিনের সাথে যুক্ত হওয়ার ক্ষমতা ( প্রোটিন বাইন্ডিং) ~৯৩%
বিপাক: দেহ থেকে অপরিবর্তনীয়ভাবে নিষ্কাশিত হয়
বর্জন অর্ধ-জীবন (এক্সক্রেশন হাফ লাইফ) : ৮.৩ ঘণ্টা
রেচন : প্রধানত মূত্র, অল্প পরিমাণে যকৃৎ ও মল দ্বারা রেচন ঘটে ।
প্রথম প্রজন্মের অ্যান্টিহিস্টামিনের তুলনায় দ্বিতীয় প্রজন্মের অ্যান্টিহিস্টামিন খুব অল্প পরিমাণে ব্লাড ব্রেইন ব্যারিয়ার কে অতিক্রম করতে পারে তাই কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের উপর এর প্রভাব কম এবং নিরাপদ , এজন্য ঝিমুনি কম হয় ।
নির্দেশনা : সিজনাল এলার্জিক রাইনাইটিস, পেরিনিয়াল এলার্জিক রাইনাইটিস এবং ক্রনিক ইডিওপ্যাথিক আর্টিকেরিয়ায় নির্দেশিত। এটি এ্যালার্জেন-এর ফলে সৃষ্ট এ্যাজমাকে দূর করে।
সতর্কতা ও যেসব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না : গাড়ী ও ভারী মেশিন চালানোর ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। সেটিরিজিন গ্রহন এর পর অতিরিক্ত অ্যালকোহল বা অন্যান্য সিএনএস ডিপ্রেসেন্ট ওষুধ গ্রহন থেকে বিরত থাকা উচিত।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া : সামান্য পরিমাণ ঘুম ঘুম ভাব পরিলক্ষিত হতে পারে।
গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার : গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে অতীব প্রয়োজনীয়তা না থাকলে সেটিরিজিন গ্রহণ করা উচিত নয়। সেটিরিজিন মায়ের দুধের সাথে নিঃসৃত হয়। তাই স্তন্যদানকারী মায়েদের ক্ষেত্রে ইহা নির্দেশিত নয়।