ক্লোপিডোগ্রেল (Clopidogrel)

একটি অ্যান্টিপ্লেটলেট ওষুধ যা হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি হ্রাস করতে ব্যবহৃত হয়।এটি থিয়েনোপিরিডিন শ্রেণির অ্যান্টিপ্লেটলেট ওষুধ । এটি প্লেটলেট বা অণুচক্রিকার পি 2 ওয়াই 12 নামে একটি রিসেপ্টরের সাথে অপরিবর্তনীয়ভাবে যুক্ত হয়ে রক্ত জমাট বাধতে বাধা দেয় ।

ক্লোপিডোগ্রেল ১৯৮২ সালে পেটেন্ট করা হয়েছিল এবং ১৯৯৭ সালে চিকিত্সা ব্যবহারের জন্য অনুমোদিত হয়েছিল । এটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রয়োজনীয় ওষুধের তালিকায় রয়েছে ।

[su_pullquote]ফার্মাকোকাইনেটিক তথ্য :

অনসেট অফ অ্যাকশন: ২ ঘন্টা

এলিমিনেশন হাফ-লাইফ: ৭–৮ ঘন্টা (inactive metabolite)

রেচন: ৫০% বৃক্ক; ৪৬%

বিলিয়ারি বায়োএভেলএবিলিটি >৫০ %

বিপাক: যকৃৎ

প্রোটিন বাইন্ডিং: ৯৪-৯৮%[/su_pullquote]

নির্দেশনা : এ্যাথেরোস্কেরোসিস (ইসকেমিক স্ট্রোক, মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন অথবা স্থায়ী প্রান্তীয় ধমনীর রোগ) এর ইতিহাস আছে, সেসব রোগীদের এ্যাথেরোস্কেরোটিক ইভেন্ট এর প্রতিরোধ নির্দেশিত। এটি প্রতিরোধক হিসাবে মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন এবং স্ট্রোকের মত থ্রোম্বো-এমবোলিক অস্বাভাবিকতায় ব্যবহৃত হয়।

সতর্কতা ও যেসব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না :
অতিসংবেদনশীলতা এবং পাকস্থলী বা অন্ত্রে ঘা অথবা ইন্ট্রাক্রেনিয়াল হেমোরেজজনিত রক্তক্ষরণে।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া : রক্তক্ষরণ (পরিপাকতন্ত্র ও ইন্ট্রাμেনিয়াল), পেটে অস্বস্তিবোধ, বমি বমি ভাব, বমি, ডায়রিয়া, মাথা ব্যাথা, মাথা ঝিম্ঝিম্ করা, মাথাঘোরা, প্যারেসথেসিয়া, র‌্যাশ, চুলকানী, কিডনী এবং যকৃত সংক্রান্ত জটিলতা, নিউট্রোপেনিয়া ইত্যাদি
হতে পারে।

অন্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া: এ্যাসপিরিন, এনএসএআইডি।

গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার : অতীব প্রয়োজন হলে ব্যবহার করা যেতে পারে

 

[su_box title=”সতর্কীকরণ” style=”bubbles” box_color=”#f4f1f1″ title_color=”#f00f0f”]ওয়েবসাইটে প্রাপ্ত তথ্য শুধু মাত্র মৌলিক ধারনা হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন কিন্তু কোনভাবেই তা আপনার প্রকৃত চিকিৎসা নয়। ওষুধ গ্রহনের পূর্বে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।[/su_box]

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *