আই ক্যান রাইট মাই সিভি: পর্ব ২

আনোয়ার মোরছালিন

0
জ লিখছি দ্বিতীয় পর্ব। ধৈর্য্য ও মনোযোগ দিয়ে পড়ুন, আশাকরি নিজেই নিজের জন্য একটি ভাল CV লেখা শিখতে পারবেন।

Interview এর জন্য প্রার্থী বাছাই করতে interviewer অনেকাংশে তাঁর CV’র উপর নির্ভর করেন। একটি professional CV উপস্থাপনের মাধ্যমে আপনি interview এর জন্য নির্বাচিত হওয়ার পথকে সহজ করতে পারেন।

আপনার যোগ্যতা যাই হোক না কেন, একটি ভাল CV অন্য প্রার্থীদের থেকে আপনাকে আলাদা করতে পারে। একজন interviewer আপনাকে না দেখলেও আপনার CV দেখে interview এর জন্য আপনাকে নির্বাচিত করেন। এই CV ই তো আপনাকে প্রাথমিকভাবে represent করে।

CV তৈরীতে প্রথমেই নজর দিন CV’র get up বা সৌন্দর্যের দিকে। মনে রাখতে হবে যে, CV দেখতে ভাল না হলে তা পড়তেও ভাল লাগবে না। কয়েকটি বিষয় খেয়াল করলে CV-কে সুন্দর করা যায়।

১. CV তৈরী করতে হবে 80 gsm A4 সাদা কাগজে। আর CV হবে ইংরেজীতে।

২. Times New Roman, Calibri এই ধরনের font ব্যবহার করা যেতে পারে। আমি calibri ব্যবহার করি। কোন প্যাঁচানো অক্ষরের font ব্যবহার করা উচিত নয়। font এর সাইজ 11 বা 12 এবং হেডলাইন গুলো 12 বা 13 ও bold letter এ হতে পারে। CV’র শুরুতে Curriculum Vitae কথাটি ও প্রার্থীর নামের font size 16 বা 18 হতে পারে, যা দেখতে সুন্দর লাগবে। Font হবে regular case এর। All cap এর font নয়। Text এর বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ, কারন টেক্সট স্পষ্ট না হলে কেউ কষ্ট করে CV পড়বেন না।

৩. CV সাদা কাল হবে। রঙিন করার কোন প্রয়োজন নাই। CV তে কোন ডিজাইন, বা ফটোসপ ইত্যাদি কোন কাজ করারও প্রয়োজন নাই। টেক্সটের সাথে কোন ধরনের shade ব্যবহার না করলেই ভাল হয়।

৪. প্রার্থীর ছবি যেন রঙিন, সাম্প্রতিক ও দেখতে ভাল হয়। অনেকটা পাসপোর্ট ছবি ধরনের। প্রফেসনাল মনে হয় এমন মুখের ছবি দেওয়া দরকার। ইন্টারভিউতে যে ধরনের ড্রেস প্রযোজ্য সেই ধরনের ড্রেস পড়ে ছবি দিবেন। CV’র মধ্যে ছবি খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান।

৫. CV-তে টেক্সট লেখার সময় যথেষ্ট স্পেস ব্যবহার করতে হবে। পেইজের চারপাশে (ডানে, বাঁয়ে, উপরে, নিচে) খালি স্পেস থাকবে, এক ইঞ্চি করে দিলে ভাল। বেশী টেক্সটের জায়গা করার জন্য এই খালি জায়গা কমানো বা font size ছোট করে দেওয়ার কারনে CV’র সৌন্দর্য নষ্ট হয়। CV’র প্রতিটি পৃষ্ঠা শুরু হবে নতুন কোন সেকসন দিয়ে। একটি লাইনের অর্ধাংশ পরের পৃষ্ঠায় উল্লেখ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

৬. ইমেইল address প্রার্থীর নিজের নামে করলে বেশী ভাল। ইমেইলে কোন ছদ্দ নাম ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। ধরুন কারো ইমেইল address হচ্ছে [email protected] অথবা [email protected]. এই ধরনের ইমেইল address দেখে reader বিরক্ত হতে পারেন। আমি যে ইমেইল address ব্যবহার করি তা হচ্ছে [email protected].

৭. CV-তে প্রার্থী অবশ্যই signature করবেন ও তারিখ দিবেন। soft কপির ক্ষেত্রে যদিও signature দরকার হয় না, তবুও signature scan/image করে দিতে পারেন।

৮. CV’র print copy হবে ঝকঝকে ও উজ্জ্বল। Hard কপি ভাঁজ না করে তা A4 সাইজের খামে দিবেন। Soft কপির ক্ষেত্রে page set up এর দিকে লক্ষ্য রাখবেন। এজন্য word document না পাঠিয়ে pdf করে দিলে ভাল হবে।

৯. CV’র সাথে যে ডকুমেন্টগুলো চাওয়া হয় সেগুলো ফটোকপি বা স্ক্যান/ইমেজ করতে হবে উজ্জ্বল ও পরিষ্কার করে। এইসব ডকুমেন্ট যেন কোন ভাবেই অস্পষ্ট না হয়। Cover letter ও হতে হবে সুপাঠ্য এবং আকর্ষণীয়। Cover letter কি এবং কিভাবে লিখতে হয় পরবর্তী কোন পর্বে আলোচনা করছি।

১০. CV-তে প্রার্থীর মোবাইল নম্বর ও ইমেইল একটি করে দিলেই ভাল হয়। একাধিক মোবাইল নম্বর ও ইমেইল recruiter এর বিরক্তির কারন হতে পারে। এই দুইটি যোগাযোগের মাধ্যম যেন সব সময় সচল থাকে। মনে রাখতে হবে যে, অনেক recruiter প্রার্থীকে একবারের বেশী নক করেন না।

আমার অভিজ্ঞতা থেকে এই দশটি বিষয় Career Chapter এ উল্লেখ করলাম। বাকী আরো বিষয় পরবর্তী পর্বগুলোতে আলোচনা করব। প্রার্থী সিভি তৈরীর সময় এই বিষয়গুলো নজরে এনে CV-কে একটি আকর্ষণীয় ডকুমেন্টে পরিণত করতে পারেন।

Reader ও recruiter কে CV’র প্রতি মনোযোগী করার মাধ্যমে প্রার্থী তাঁর নিজের প্রতি তাঁদের মনোযোগ বৃদ্ধি করতে সক্ষম হবেন।

সাথে থাকুন।

শুভ কামনা

লেখক: প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা , গ্যাকো ফার্মাসিউটিক্যালস । 

আই ক্যান রাইট মাই সিভি: পর্ব ৩ পড়ুন 

মতামত দিন
Loading...