আই ক্যান রাইট মাই সিভি: পর্ব ৪

আনোয়ার মোরছালিন

0
জ চতুর্থ পর্বের আলোচনা করছি। অভিজ্ঞ ও অনভিজ্ঞ প্রার্থীর CV ভিন্ন ধরনের হবে। এখন অনভিজ্ঞ প্রার্থীর CV তৈরীর নিয়ম আলোচনা করছি। এর পরে অভিজ্ঞ প্রার্থীর সিভি তৈরীর নিয়ম আলোচনা করব।

ছাত্র-ছাত্রীরা ভয় পেয়ে যান যে অভিজ্ঞতা সম্পর্কে কি লিখবেন তাঁরা CV তে। এটা ঠিক যে, কাজ না করলে অভিজ্ঞতা হয় না। কিন্তু student life এর বেশ কিছু কার্যক্রমের কথা অভিজ্ঞতা হিসেবে CV-তে উল্লেখ করা যেতে পারে। এই অংশটি একজন অনভিজ্ঞ প্রার্থীকে অন্যদের থেকে আলাদা করতে পারে। অনেক সময় অভিজ্ঞ প্রার্থীদের সাথে প্রতিযোগিতায় সহায়তা করে এই কার্যক্রম থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতাগুলো।

অভিজ্ঞতার উদাহারণ হিসেবে student life এর কোন event ম্যানেজ করার বা তাতে অংশগ্রহণ করার বিষয় উল্লেখ করা যেতে পারে। যেমন, ডিবেট করা, ফটোগ্রাফি, খেলাধুলা, অনুষ্ঠান আয়োজন বা অংশগ্রহণ, উপস্থাপনা করা, কোন ক্লাবের সদস্য হিসেবে কাজ করা, বন্যা দূর্গতদের সাহায্য করা, করোনার সময়ে কোন সামাজিক কাজে অংশগ্রহণ ইত্যাদি যা কোন জবের ক্ষেত্রে প্রাসংঙ্গিক হয় তা সিভিতে উল্লেখ করা যেতে পারে।

জব অনুযায়ী সামঞ্জস্যপূর্ণ কার্যক্রম সমূহ CV-তে এই extracurricular activity উল্লেখ করতে হবে। এই extracurricular activity গুলো একজন প্রার্থীকে অন্য প্রার্থীদের থেকে আলাদা করতে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সেজন্য সকলেরই student life এ বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রমের সাথে যুক্ত থাকা দরকার।

লেখাপড়ার বাইরে কোন কার্যক্রমে অংশ গ্রহণের ফলে একজন প্রার্থী communication skill, interpersonal skill, leadership quality, situation handling, problem solving ইত্যাদি বিষয়ে জ্ঞান ও দক্ষতা student life এ অর্জন করতে পারেন। এই বিষয়গুলো ক্যারিয়ারে উন্নতিতে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

সুতরাং এই বিষয়গুলো CV-তে সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে। এক্ষেত্রে দায়সারাভাবে বা অস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা যাবে না। ইভেন্টের নাম, সময়, ফলাফল ইত্যাদি উল্লেখ করে সিভিতে বোঝাতে হবে যে ঐ ইভেন্ট থেকে প্রার্থী কি জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করেছে যা জবের জন্য প্রাসংঙ্গিক। জবের জন্য অপ্রাসঙ্গিক হলে তা উল্লেখ করে অবশ্য কোন ফল পাওয়া যায় না।

এছাড়া একজন অনভিজ্ঞ প্রার্থীকে career objective, যা সিভির প্রথম দিকে থাকে, এক বা দুই লাইনের মধ্যে বা অল্প কথায় উল্লেখ করতে হবে। কোম্পানী ও পদ অনুযায়ী career objective ও ভিন্ন হতে পারে।

Career এ প্রার্থী দীর্ঘমেয়াদে কি করতে চান বা কোথায় পৌঁছতে চান তা উল্লেখ করতে হয় career objective এ। এটি খুব সুস্পষ্ট হতে হবে, যা সহজেই interviewer এর নজর কাড়ে।

কর্মজীবনে নিজের লক্ষ্য নির্ধারণ থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে এই অংশটি অনেক interviewer গুরুত্বের সাথে নেন।

আমি আলোচনার এক পর্যায়ে career objective এর কয়েকটি উদাহারণ উল্লেখ করব। এই উদাহারণ থেকে আপনি আপনার career objective লেখা শিখবেন। কিন্তু এই objective কেউ কপি করবেন না, তাতে নিজের লক্ষ্যকে হারিয়ে ফেলবেন।

সাথে থাকুন। পরের পর্বে আসছি।

শুভ কামনা।

লেখক: প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা , গ্যাকো ফার্মাসিউটিক্যালস । 

পড়ুন: আই ক্যান রাইট মাই সিভি: পর্ব ৫ 

 

মতামত দিন
Loading...